সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স নিছকই সংখ্যামাত্র। তা দিনের পর দিন শুধু বাড়ে মাত্র। বয়সের জন্য কোনওকিছুই আটকে থাকে না। প্রেম তো একেবারেই না। প্রেমে পড়লে বছর আটাত্তরের বৃদ্ধও হয়ে উঠতে পারেন তরুণ। তাই যেন প্রমাণিত হল ইন্দোনেশিয়ায় (Indonesia)। আটাত্তর বছর বয়সি ইন্দোনেশিয়ার এক বৃদ্ধ মাত্র সতেরো বছর বয়সি কিশোরীর সঙ্গে গাঁটছাড়া বাঁধলেন। তা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে বিস্তর। তবে বৈবাহিক সম্পর্কের আয়ু মাত্র ২২ দিন। তারপরই হল বিচ্ছেদ।
সম্প্রতি বছর আটাত্তরের আবাহ সারনা বছর সতেরোর ননি নভিতার প্রেমে পড়েন। দুই পরিবারের মধ্যে কথাবার্তার পর বিয়েও করেন দু’জনে। বিয়ে (Marriage) তো বেশিরভাগ মানুষই করেন। তাই তা নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই বলে ভাবার মিনিটখানেকের মধ্যেই মাথা ঘুরে যায় সকলের। বয়সের ব্যবধানের জন্যই আবাহ এবং ননি বিয়ের কাহিনি এখনও মুখে মুখে ফিরছে। ননির পরিবারের দাবি, দিব্যি সুখেই ছিলেন তাঁদের বাড়ির মেয়ে। বয়সের ব্যবধান থাকলেও প্রেমের জোয়ারে যেন ভেসে বেড়াচ্ছিলেন দু’জনে। উথালপাতাল প্রেমের সাগরে যেন হাবুডুবু খাচ্ছিলেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: ধন্যি প্রেম! প্রবল ঝড়বৃষ্টির মাঝেও নদী পেরিয়ে চার্চে বিয়ে সারলেন যুগল]
কিন্তু কথায় বলে সুখ চিরস্থায়ী হয় না। তাই তো সুখের দিনেও এমন কিছু ঘটে যা সকলকে কাঁদিয়ে যায়। ঠিক যেমন ঘটল ননির সঙ্গে। আচমকাই একদিন আবাহর পাঠানো বিবাহবিচ্ছেদের কাগজপত্র হাতে এসে পৌঁছয় তাঁর। তাও আবার বিয়ের মাত্র ২২ দিনের মাথায়। স্বামী সেকাজ করতে পারেন, তা আগে ভাবেননি ননি। তাই প্রথমে বাকরুদ্ধ হয়ে যান তিনি। অঝোরে কাঁদতে থাকেন। পরিজনদের দাবি, বিবাহবিচ্ছেদের (Divorce) কাগজপত্র হাতে পাওয়ার পর গোটা দিন জল পর্যন্ত খাননি ননি।
কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত নিলেন ননির সত্তরোর্ধ্ব স্বামী? কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে বিয়ের আগেই নাকি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন ননি। যা জানতেন না তাঁর স্বামী। জানার পরই বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন তিনি। যদিও সেকথা মানতে নারাজ ননির পরিবার। বর্তমানে প্রেমের সাগরে ভাটার টান। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের দুঃখকে পুঁজি করেই আপাতত দিন কাটাচ্ছেন ননি।