সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেমে পড়েছেন কখনও? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে আপনার জন্য দ্বিতীয় প্রশ্নও রয়েছে। প্রেমে পড়ে প্রেমিক বা প্রেমিকার জন্য কী কী করেছেন? অর্থাৎ কতটা ঝুঁকি নিয়েছেন? খুব বেশি হলে বাবা-মা কিংবা পরিবারের সকলের চোখরাঙানি তুড়িতে ওড়ানোর কথা বলবেন, তাই তো? কিন্তু এক যুবক তাঁর প্রেমিকার জন্য কী করেছেন, তা জানলে আপনি চমকে যাবেন।
এবার তবে বিষয়টি খোলসা করা যাক। সেনেগালের (Senegal) বাসিন্দা খাদিম এমবুপ। ওই যুবক গ্যাস্টন বার্জার বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। গাঙ্গু ডিওম নামে এক তরুণীকে মন দিয়েছেন তিনি। তাদের পরিচিতদের মতে, সম্পর্কের বয়স বেশ কয়েক বছর হয়েছে। তবে দু’জনের মধ্যে মানসিক টান অত্যন্ত বেশি। এমন ভালবাসা যাদের মধ্যে রয়েছে, তারা কি বিপদে একে অপরকে ছেড়ে যেতে পারেন? বিপদ হল তরুণী ইংরাজিতে বিশেষ ভাল নন। পরীক্ষায় বসলে নির্ঘাত ফেল করবেন বলে ভেবেছিলেন। তাই পরীক্ষায় বসার কথা ভেবেই অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন।
[আরও পড়ুন: পুরনো এই ২ টাকার কয়েনেই রাতারাতি হতে পারেন ধনী! জানুন কীভাবে]
প্রেমিকার এহেন বিপদে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বদ্ধপরিকর খাদিম এমবুপ। অনেক ভাবনাচিন্তার পর নিজেই পরীক্ষায় বসবেন বলে স্থির করেন। কিন্তু পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে ছলনার আশ্রয় যে নিতেই হত তাকে। তাই তো মহিলাদের পোশাক, অন্তর্বাস, নকল চুল এমনকী মেক আপের সামগ্রীও কিনে ফেলেন তিনি।
এরপর খাদিম যা করলেন, তা জানলে আরও অবাক হবেন। তিনি তরুণীর মতো সাজগোজ করে পরীক্ষাকেন্দ্রে চলে যান। এভাবে পরীক্ষাও দেন তিন দিন। তবে ছল চাতুরির আশ্রয় নিয়ে কি আর মহৎ কাজ করা যায়? তাই তো শিক্ষকের হাতেনাতে ধরা পড়ে যান। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। তবে পুলিশের দাবি, গোটা ঘটনাটি স্বীকার করে নিয়েছেন খাদিম। জানিয়েছেন, প্রেমিকাকে ভালবেসেই এহেন কাজ করেছেন। তার স্বীকারোক্তি যে তদন্তকারীদেরও অবাক করতে বাধ্য, তা আর নতুন করে বলার কিছু নেই।