সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে সবচেয়ে চর্চিত ভারতীয় ছিলেন তিনিই। নাম উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। পাক যুদ্ধবিমানকে ধ্বংস করে ফিরে আসার সময়ই ভেঙে পড়ে তাঁর বিমান। ধরা পড়ে যান পাক সেনাদের হাতে। তারপর ৬০ ঘণ্টা কাটিয়েছিলেন সীমান্তের ও পাড়ের জেলের। পাকিস্তানের সেই জেলে তাঁর উপর অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভেঙেছিল পাঁজর। যদিও পাক সেনার দাবি ছিল, কাশ্মীরে বিমান ভাঙার পরই স্থানীয়দের অত্যাচারে তাঁর পাঁজর ভাঙে। কিন্তু সম্প্রতি সামনে আসে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। বায়ুসেনার এক আধিকারিকের কথায়, জেলের মধ্যে অভিনন্দনকে মারধর করা হয়েছিল। আর তাতেই পাঁজর ভেঙেছিল অভিনন্দনের। একইসঙ্গে প্রকাশ্যে এল জেলবন্দি থাকা অবস্থায় অভিনন্দনের সঙ্গে স্ত্রী তনভি মারওয়ার কথোপকথন। যা শুনে অভিভূত নেটিজেনরা।
২০১৯ সালের ২৭ অগস্ট পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছিলেন উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু ফিরে আসার আগেই বিমান ভেঙে পাক সেনার হাতে ধরা পড়ে যান। জেলে বন্দি হন। ৬০ ঘণ্টা পরে কূটনৈতিক চাপে অভিনন্দনকে ছাড়তে বাধ্য হয় ইমরান খান সরকার। অভিযোগ, পাক জেলে নাকি অমানুষিক অত্যাচার করা হয়েছিল তাঁর সাথে। তারপরেও স্ত্রীর সঙ্গে ফোনে মজা করেছিলেন উইং কম্যান্ডার। ভেঙে পড়েননি স্ত্রীও। সম্প্রতি ভারতীয় বায়ুসেনার এক আধিকারিকের মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশ পেয়েছে।
[আরও পড়ুন : দিল্লির অশান্তিতে পুলিশ ‘নিষ্ক্রিয়’, অমিত শাহকে চিঠি অকালি দলের সাংসদের]
একটা ভিডিও প্রকাশ পেয়েছিল, যেখানে দেখা গিয়েছিল চায়ের কাপ হাতে পাক সেনা অফিসারের প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন অভিনন্দন। এরপরেই নাকি অভিনন্দনের বাড়িতে ফোন করা হয় পাক সেনার তরফে। এদিকে অভিনন্দনের স্ত্রী তথা ভারতীয় বায়ুসেনার প্রাক্তন পাইলট তনভি দেখেন, সৌদি আরবের নম্বর থেকে ফোন এসেছে। ফোন তুলেই তিনি শোনেন অভিনন্দনের গলা। তবে ফোনের ওপারে স্বামীকে যে মারা হচ্ছে তা তনভি বুঝতে পারেন। কিন্তু তাতেও বিচলিত হননি তনভি। বরং মজা করে কথা বলছিলেন তাঁরা। এই মারধরের জেরেই অভিনন্দনের পাঁজর ভেঙেছিল বলে খবর।
[আরও পড়ুন : হিংসায় মৃতদের পরিবারপিছু দেওয়া হবে ১০ লক্ষ টাকা, ঘোষণা কেজরিওয়ালের]
প্রথমেই তনভি জিজ্ঞাসা করেন, “ছেলেমেয়েদের কী বলবেন? উত্তরে অভিনন্দন জানান, “বলবে, বাবা জেলে রয়েছে।” ভিডিওতে অভিনন্দনকে চা খেতে দেখা গিয়েছিল। সেই চা কেমন ছিল, তা জানতে চেয়েছিলেন তনভি। অভিনন্দন বলেন, “ভাল।” তাতে স্ত্রী জিজ্ঞাসা করেন তিনি যে চা বানান তার থেকেও ভাল? উত্তরে পাকিস্তানের জেলে বসে অভিনন্দন বলেন, “হ্যাঁ, এটা আরও ভাল।” তখন তনভি হেসে বলেন, “তাহলে আসার সময় রেসিপি নিয়ে এস।” ফোনের গোটা কথোপকথন রেকর্ড করে নিয়েছিলেন তনভি।
The post পাকিস্তানের জেলেই অভিনন্দনের পাঁজর ভেঙেছিল! প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য appeared first on Sangbad Pratidin.