সুকুমার সরকার, ঢাকা: আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ও পরে অন্তত একমাস ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সংখ্যালঘুদের জন্য। তাই তাঁদের ধর্মীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনা ও বিশেষ বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ও মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটি। শনিবার রাজধানী ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে যৌথভাবে আয়োজিত ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সভায় এই দাবি জানানো হয়।
সভায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মহানগর সার্বজনীন পুজো কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তাঁর দাবি, নির্বাচন সংক্রান্ত অতীত অভিজ্ঞতা সংখ্যালঘুদের জন্য উদ্বেগজনক। সোশাল মিডিয়া পোস্ট, সভা-সমাবেশ ও ধর্মীয় সমাবেশে প্রকাশ্যে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সভায় ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য, সব নির্বাচনে ধর্ম ব্যবহার নিষিদ্ধ, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের যথাযথ প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, নির্বাচনের আগে ও পরেঅন্তত এক মাস সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় সেনা ও বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা; ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হামলা, লুটপাট ও চাঁদার জুলুম বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া। সভায় উপস্থিত ছিলেন কলামনিস্ট ফরহাদ মজহার, লেখক মহিউদ্দিন আহমদ, সাংবাদিক সোহরাব হাসান, হাসান হাফিজ, এম এ আজিজ, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।
শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক সভা। নিজস্ব ছবি।
এদিকে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য একটি বড় পরীক্ষা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদেশ উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেন। তাঁর কথায়, ''সামনে নির্বাচন। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বড় পরীক্ষা। এর আগে অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস বলেন, আগামী নির্বাচন একটি আদর্শ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।'' বিদেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, ''দেশের সবকিছুর ভিত্তি আইনশৃঙ্খলা। শুরুতে সমস্যা থাকলেও এখন পরিস্থিতি অনেক ভালো। পুলিশ নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে সংহত হতে পেরেছে। কেউ পরাজিত হলে বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করতে পারে। আমরা চাই, একটি ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে।''
