সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্তি রয়েছে কম-বেশি সকলেরই। প্রতিদিনই বাড়ছে ফেসবুক (Facebook), হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp), টুইটার (Twitter), ইনস্টাগ্রামের (Instagram) ব্যবহার। কিন্তু এর যেমন ভাল দিক রয়েছে, তেমনই খারাপ দিকও রয়েছে। আর তাই সোশ্যাল মিডিয়ার অপব্যবহার এবং ইউজারদের ক্ষতিকারক আচরণ রুখতে আগেই কড়া পদক্ষেপ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
ভারতের নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন মেনে এবার ৩০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়র অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল ফেসবুকের মালিকানাধীন সোশ্যাল মেসেজিং অ্যাপটি। গত ১৬ জুন থেকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করা হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে জমা দেওয়া নিজেদের Compliance রিপোর্টে একথাই জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
[আরও পড়ুন: এবার লুকিয়ে পর্ন সাইট দেখাতেও লাগাম টানছে কেন্দ্র, নিষিদ্ধ হতে পারে VPN]
সম্প্রতি ভারতে জারি হয়েছে নয়া তথ্যপ্রযুক্তি আইন। হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কর্তৃপক্ষ ভারতের নয়া আইনে প্রাথমিকভাবে গররাজি হলেও পরবর্তীতে তাঁরা রাজি হয়ে যায়। সেই আইন মেনেই এই গাইডলাইন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাতে জানানো হয়েছে, ভারতীয় আইন আর হোয়াটসঅ্যাপের পরিষবার শর্তাবলী না মানায় ওই অ্যাকাউন্টগুলি চিহ্নিত করে ব্লক করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নয়া তথ্য প্রযুক্তি আইন চালু হওয়ার পর ভারতে ফেসবুক, ট্যুইটার এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলির সঙ্গে অনবরত মতবিরোধ হয়েছে ভারত সরকারের। তবে কেন্দ্র সাফ জানিয়ে দেয়, জাতীয় সুরক্ষাকে সবার ওপরে রেখে ভারতের আইন মেনেই এদেশে ব্যবসা করতে পারবে সংস্থাগুলি। তার অন্যথা হলে নতুন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমদিকে দেশের আইন এবং সরকারের কড়া নির্দেশিকা মানতে অস্বীকার করলেও চাপের মুখে পড়ে ফেসবুক-টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সংস্থাগুলি তাদের নীতিতে বদল করতে শুরু করে। কেন্দ্রের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইনে বলা হয়েছে, ৫০ লক্ষের বেশি গ্রাহক রয়েছেন, এমন সোশ্যাল সাইটগুলিতে প্রতি মাসেই কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট পেশ করতে হবে। একইসঙ্গে জানাতে হবে, তাদের কাছে কত অভিযোগ জমা পড়ছে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে কতগুলি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তারপরই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা শুরু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।