দেব গোস্বামী, বোলপুর: মৌলবাদীদের অত্যাচারে জ্বলছে দেশের মাটি। যত্রতত্র যখন তখন হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে ডাহা ফেল অন্তর্বর্তীকালীন ইউনুস সরকার। নির্মমভাবে চলছে হিন্দু নিধন যজ্ঞ! এনিয়ে ঢাকা-নয়াদিল্লির কূটনৈতিক চাপানউতোরও বেড়ে চলেছে। একাধিক জায়গায় ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর জন্য সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ভারতে পড়তে আসা বাংলাদেশি পড়ুয়ারা। শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীতে পাঠরত ওপার বাংলার ছাত্রছাত্রীরা ভিসা জটে আটতে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়েছে, তাঁরা চাইলে হস্টেলে থাকতেই পারেন, হস্টেল তাঁদের জন্য খোলা থাকবে।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের প্রায় ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন। জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে তাঁদের সেমিস্টার পরীক্ষা। ফলে তাঁদের অনেকেই এখন বাড়ি ফিরতে চাইছেন। কিন্তু মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভিসা পাওয়া। এই মুহূর্তে সীমান্ত এলাকার বেশ কয়েকটি ভিসাকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গিয়েছে দু'দেশের তরফেই। এদিকে, স্বদেশের অস্থির পরিস্থিতে পরিবারে পাশে থাকতে মরিয়া পড়ুয়ারা। কিন্তু বাড়ি ফিরতে না পেরে চরম দুশ্চিন্তায় বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারা।
অনেকেই বলছেন, ''এমন সময়ে বাড়ি ফিরতে পারলে, পরিবারের সঙ্গে দেখা হলে কিছুটা হলেও মন ভালো হত। কিন্তু এই মুহূর্তে বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।'' যদিও বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, ভিসা সংক্রান্ত সমস্যা থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও অসুবিধা হবে না। তাঁরা হস্টেল অথবা ক্যাম্পাসে থাকতে পারবেন, নিজেদের কাজও করতে পারবেন। সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কাজেই এই মুহূর্তে হস্টেলের ঘরে বসে দেশের জন্য যন্ত্রণা আর পরিজনদের জন্য উদ্বেগ ছাড়া বস্তুত কিছু করার নেই সীমান্ত পেরিয়ে এপাড়ে পড়তে আসা যুবসমাজের।
