রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: বছর শেষে পর্যটকদের ঢেউ আছড়ে পড়ছে দিঘায়! বড়দিন থেকেই সৈকতনগরীর হোটেলগুলিতে পর্যটকদের ভিড়। বছর শেষে সেই ভিড় আরও বাড়বে। হোটেল মালিকদের একাংশ বলছেন, ভিড়ে এ বার নতুন রেকর্ড গড়বে এই সৈকতশহর। অন্যদিকে ভিড় বাড়তেই অবৈধ মদের কারবার চলছে রমরমিয়ে। ওড়িশা সীমান্ত ঘেঁষা উদয়পুর সৈকতে চলছে এই কারবার। সেই খবর পাওয়া মাত্র বিশেষ অভিযান চালাল দিঘা পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিশাল সংখ্যক মদের বোতল। শুধু তাই নয়, দু'জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওল্ড দিঘা, নিউ দিঘার পাশাপাশি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্র হয়ে উঠছে উদয়পুর। নতুন প্রজন্মের ভিড়। আর সেই ভিড়ের সুযোগ নিয়ে ক্রমশ মাদকের স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠেছে উদয়পুর। প্রকাশ্য দিনের আলোয় সমুদ্র সৈকতে চেয়ার-টেবিলে বসেই চলছে সুরাপান, মাদক সেবন। টাকা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে কাঁকড়া ও বাহারী মাছের বিভিন্ন পদ। বছর শেষে পর্যটকদের ভিড় আরও বাড়বে। সেই মতো সমস্ত জোগারও তৈরি ছিল! কিন্তু গোপন সূত্রে সেই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছাতেই বিশেষ অভিযানে নামেন পুলিশ আধিকারিকরা।
রীতিমতো চমকে যাওয়ার মতো বিষয়! তদন্তকারীরা দেখেন সৈকত সরনীর গায়ে কেউ ডিপ ফ্রিজ বসিয়ে মদ সংরক্ষণ করেছেন, কেউ আবার সৈকত সরনীর নিচে করিডর তৈরি করে গোপনে মদ রেখেছেন। তা দেখা মাত্রই পুলিশের তরফে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) অতীশ বিশ্বাস বলেন, ''উদয়পুর সৈকত অবৈধ মদের কারবার চলার খবর গোপন সূত্রে আসে। তারপরেই অভিযান শুরু হয়। তাতে এক হাজারের বেশি মদের বোতল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'' ধৃত দুই ব্যক্তির নাম হরেকৃষ্ণ বেরা এবং প্রদীপ পট্টনায়ক। ইতিমধ্যে ধৃত দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। বেআইনি মদ কীভাবে, কোথা থেকে আনা হচ্ছে সে বিষয়ে তথ্য জোগার পুলিশের।
