সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘পিসি-ভাইপো’ কটাক্ষ কম শুনতে হয়নি বিরোধী শিবির থেকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) এভাবেই বারবার আক্রমণ করে থাকেন বিরোধী নেতারা। মমতা ও অভিষেকের ব্যক্তিগত সম্পর্ক উল্লেখ করে ওঠে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ। তবে নবজোয়ার কর্মসূচির সমাপ্তি ভাষণে কাকদ্বীপের (Kakdwip) সভা থেকে সেই সব কটাক্ষের জবাব তৃণমূল নেত্রী দিয়ে দিলেন স্রেফ একটা ছবিতে। ওই একটি ফ্রেমেই ধরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সচেতনতার গোড়া। আর ২ মাস ধরে সাফল্যের সঙ্গে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ (Trinamoole Nabajawar) কর্মসূচি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও গোটা টিমকে অভিনন্দন জানালেন তিনি। বলেন, ”৬০ দিন আগেকার অভিষেক আর আজকের অভিষেক এক নয়। অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করে এল ও।”

পরিবারতন্ত্রের জোরে নয়, আজ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক সাফল্যের নেপথ্যে অভিষেকের আবাল্য রাজনৈতিক সচেতনতা। ২ বছর বয়স থেকেই সে রাজনীতিক দিক থেকে সচেতন। কাকদ্বীপে নবজোয়ার কর্মসূচির ইতি টানতে গিয়ে এভাবেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন তৃণমূল সুপ্রিমো। জনসমক্ষে তুলে ধরলেন ‘যোগ্য উত্তরসূরী’ হিসেবে তাঁর স্নেহধন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফল্যের গুপ্ত কাহিনী।
[আরও পডুন: মনোনয়নে রণক্ষেত্র চোপড়া কার্যত বিরোধী শূন্য, পঞ্চায়েতের ২১৭ টি আসনই ‘বিনাযুদ্ধে’ জয়ী তৃণমূল]
এদিন মঞ্চে বক্তব্যের শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তিনি অভিষেককে কিছু উপহার দিতে চান। অভিষেকের ছোটবেলার কথা বলে তারই স্মারক হিসেবে উপহার একটি ছবি। সে ছবিতে রয়েছেন তিনজন। মাথায় ব্যান্ডেজ বাঁধা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তাঁর মা এবং মায়ের কোলে ছোট্ট অভিষেক। এ কেবল এক ফ্রেমবন্দি ছবিই নয়। এই ছবির কাহিনিও এদিন খুলে বললেন তৃণমূল নেত্রী। বলেন, ”১৯৯০ সাল। অভিষেক তখন দু’বছরের। নিতান্তই ছোট। আমাকে সিপিএম খুব মেরেছিল, মাথা ফেটে গিয়েছিল। আমি যখন হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলাম, মা জিজ্ঞেস করলেন, কী করে হল এমনটা? আমি মায়ের কাছে বসে সবটা বলছিলাম। আর অভিষেক মায়ের কোলে বসে সব মন দিয়ে শুনছিল, আমি খেয়াল করছিলাম। তারপরের দিন থেকে দেখেছি, ও একটা ঝান্ডা হাতে নিয়ে বাড়িময় দৌড়ত আর বলত – দিদিকে কেন মারলে, সিপিএম জবাব চাই, জবাব দাও। সেই থেকেই ও রাজনৈতিকভাবে সচেতন হয়ে পড়েছিল। এখন সবাই বলে, ও আমার ভাইপো বলে রাজনীতিতে এসেছে। সেটা একেবারে ঠিক কথা নয়।”