বাবুল হক, মালদহ : গয়না লুট করতে এসে চলন্ত ট্রেনের কামরা থেকে তাঁকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তেমনই দাবি স্বামীর। ২৪ ঘণ্টার পর অবশেষে খোঁজ মিলল ব্রহ্মপুত্র মেলের নিখোঁজ মহিলা যাত্রীর। তবে ঠিক কী ঘটেছিল, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
[আরও পড়ুন: আলাদা জায়গায় মিলল ধড়-মুন্ডু, লোকাল ট্রেনে দেহাংশ উদ্ধারে ভাটপাড়া যোগ]
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার ভোরে। রবিবার রাতে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি স্টেশন থেকে স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালককে নিয়ে দিল্লিগামী ব্রহ্মপুত্র মেলে ওঠেন কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দা রাজু বর্মন। এসি কামরা ছিলেন তাঁরা। রাজু বর্মনের দাবি, সোমবার ভোরে তখন সবেমাত্র ট্রেন ঝাড়খণ্ডের বাড়হারোয়া স্টেশন পেরিয়েছে, এসি কামরার শৌচাগারে যান তাঁর স্ত্রী নীলিমা। কিন্তু আর বার্থে ফিরে আসেননি তিনি। ফোন-সহ ব্যাগটি ফেলে গিয়েছিলেন। তাই ফোনেও স্ত্রীর সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তিনি। ব্রহ্মপুত্র মেলে কর্তব্যরত টিটি ও পুলিশকর্মীদের ঘটনাটি জানিয়েছিলেন রাজু। ট্রেনেও খোঁজাখুঁজিও করা হয়। কিন্তু নীলিমার খোঁজ পাওয়া যায়নি। মাঝপথেই জামালপুর স্টেশনে নেমে রেল পুলিশের দ্বারস্থ হন নিখোঁজ মহিলার স্বামী। কিন্তু রেল পুলিশ কোনও সাহায্য করেনি বলে অভিযোগ। ফিরতি ট্রেনে মালদহ টাউন স্টেশনে গিয়ে জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন রাজু বর্মন। শেষপর্যন্ত বুধবার ভোরে স্ত্রীর খোঁজ পেলেন তিনি।
রাজু বর্মনের দাবি, শিয়ালদহে অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন নীলিমা। কিছুক্ষণ পর যখন জ্ঞান ফেরে, তখন পায়ে হেঁটে শিয়ালদহ স্টেশনে আসেন তিনি। স্টেশনে ওই গৃহবধূকে কান্নাকাটি করতে দেখে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন এক ব্যক্তি। তাঁর মোবাইল থেকেই স্বামীকে ফোন করেন নীলিমা। ওই ব্যক্তি তাঁকে মালদহগামী ট্রেনে তুলে দেন। ফরাক্কা স্টেশনে দেখা হয় রাজু ও নীলিমার। এরপরই সোজা মালদহ জিআরপিতে চলে আসেন দু’জনে। রাজু বর্মনের বক্তব্য, নিখোঁজ হওয়ার সময়ে সাত-আট ভরির গয়না পড়েছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই গয়নার কোনও খোঁজ নেই। গয়না লুট করার জন্যই ওই গৃহবধূকে অপহরণ করেছিল দুষ্কৃতীরা। কিন্তু, সত্যিই তাই ঘটেছিল? নাকি স্বেচ্ছায় কোথাও চলে গিয়েছিলেন ওই গৃহবধূ? ধন্দে রেল পুলিশ।
[ আরও পড়ুন: এটিএম লুটের চেষ্টা বানচাল, সিনেমার কায়দায় গ্রেপ্তার কলেজ ছাত্র]
The post ২৪ ঘণ্টা পর খোঁজ মিলল ব্রহ্মপুত্র মেল থেকে উধাও মহিলা যাত্রীর appeared first on Sangbad Pratidin.
