সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: এসআইআর আতঙ্কে রাজ্যে ফের মৃত্যুর অভিযোগ! মৃত ব্যক্তির নাম শ্যামল কুমার সাহা (৭০)। নদিয়ার তাহেরপুর থানার অন্তর্গত কালীনারায়নপুর পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণচকপুর মন্ডলপাড়ার বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, ''২০০২ সালের তালিকায় নাম ছিল না। এসআইআর ঘোষণার পর থেকেই উদ্বেগে ছিলেন। খাওয়া দাওয়া প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন।'' আজ সোমবার সকালে মৃত্যু হয় শ্যামল কুমার সাহা। পরিবারের রোজগারের অন্যতম ভরসা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে একেবারে অথৈজলে পরিবার। ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব-সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা।
বঙ্গে এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এর মধ্যেই বাংলায় ফের মৃত্যুর অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের যোগ থাকলেও প্রায় ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ভারতেই বসবাস করছেন শ্যামল কুমার সাহা। সমস্ত বৈধ নথি ,ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, এমনকী বাড়ির দলিলও রয়েছে বলে দাবি। কিন্তু ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না বলে দাবি। আর তাই এসআইআর ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই শ্যামল কুমার সাহা আতঙ্ক এবং উদ্বেগে ছিলেন বলে দাবি পরিবারের। তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, ''প্রায় খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিলেন। সবসময় চিন্তায় থাকতেন।'' শেষ পর্যন্ত আতঙ্কেই মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি।
অন্যদিকে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী বলেন, ''ওনার ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম ছিল না। পরবর্তীকালে নাম তোলা হয়। আধার কার্ড, ভোটার কার্ড সব আছে। কিন্তু সারাদিন চিন্তায় থাকতেন।'' বারবার বুঝিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি ওই ব্যক্তির। শ্যামল বাবুর পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী, দুই ছেলে এবং দুই বৌমা। তাঁর দুই ছেলেই বাইরে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ফলে পরিবারের অন্যতম রোজগারের ভরসা ছিলেন শ্যামল কুমার সাহা। বিভিন্ন জায়গায় শীতের পোশাক ফেরি করতেন। হঠাৎ পরিবারের অন্যতম রোজগেরে ব্যক্তির মৃত্যুতে একেবারে অথৈ জলে পরিবার।
