সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: এসআইআর (SIR in Bengal)-এর ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষের পরেও আসছে আরও কাজের চাপ। এই কাজের চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক বিএলও। জানা গিয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ডহারবার বিধানসভার পারুলিয়া কোস্টাল থানা এলাকায়।
পারুলিয়া কোস্টাল থানার কালিচরণপুর এলাকার ২০৯ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে কাজ করছেন তপন কুমার মন্ডল। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষের পরেও এসআইআর সংক্রান্ত আরও কাজের চাপ আসছিল তাঁর উপর। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
তপন মন্ডল নিজের বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে পড়েন বলেন বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার সময়েই ঘরে ঢুকে পড়েন তার স্ত্রী। ঘরে ঢুকে স্বামীকে ঝুলতে দেখেই তাঁর প্রাণ রক্ষা করেন স্ত্রী।
তপন মন্ডলের কাকা অশোক মন্ডল জানান, "এসআইআর (SIR in Bengal)-এর ডিজিটাইজেশনের পর খসড়া ভোটার তালিকা বেরিয়ে গেলেও কাজের চাপ কমেনি। খসড়া তালিকায় নাম থাকলেও এলাকার বেশ কিছু ভোটারের শুনানির কাগজপত্র এসেছে। শুনানিতে ডাক পাওয়া ভোটারদের নানা প্রশ্নের যথোপযুক্ত জবাবদিহি করতে না পেরে প্রচন্ড মানসিক চাপে ভুগছিলেন তিনি।" তিনি আর বলেন, "চাপ সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত স্ত্রীর কিছুক্ষণ বাড়ির বাইরে থাকার সুযোগ নিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।"
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, বিএলও-র স্ত্রীর দূরদর্শিতাতেই প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ঘরের দরজা ভেজানোই ছিল। স্ত্রী ঘরে ঢুকে স্বামীকে ওই অবস্থায় দেখতে পেয়ে তৎক্ষণাৎ তাঁকে জাপটে ধরে উঁচুতে তুলে ধরে চিৎকার শুরু করে দেন। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং গলায় লাগানো ফাঁসের দড়ি কেটে ফেলেন।
তড়িঘড়ি ওই বিএলও-কে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিকে বিএলও প্রাণে রক্ষা পেলেও ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে ওই এলাকায়।
