সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও অর্থ উপায় করছেন বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীরা (Sex worker)। করোনা ভাইরাসের ভয়ে লাটে উঠেছে তাঁদের পেশা। মারণ ভাইরাস যৌনকর্মীদেরও শিখিয়েছে দো গজ কি দূরির গুরুত্বতা। মন্দা বাজারে লক্ষ্মী লাভের আশায় এবার অনলাইনেই পেশা বাঁচিয়ে রাখার মরিয়া চেষ্টা করছেন তাঁরা।
শরীরই তাঁদের রোজগারের মাধ্যম। গ্রাহকদের মন জোগাতে শরীর সর্বস্ব এই পেশাতেও কোপ পড়েছে করোনা ভাইরাসের। স্বভাবতই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করেছেন যৌনকর্মীরাও। ফলে প্রায় দু মাস ফাঁকাই পড়ে যৌনপল্লীগুলি। তাই কয়েকমাসে এই এলাকায় যাওয়া থেকে বিরত থেকেছেন রোজের খদ্দেররা। নিরুপায় হয়ে অনলাইনেই পেশাকে বাঁচিয়ে রাখতে টেক স্যাভি হওয়ার চেষ্টা করছেন রেড লাইট এলাকার মহিলারা। বেঙ্গালুরুতে এই প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে। টেক স্যাভি যৌনকর্মীরা অনলাইনেই ভিডিও চ্যাটের মাধ্যমে পরিষেবা দিচ্ছেন গ্রাহকদের। পাওনা টাকাও গ্রহণ করছেন অনলাইনেই।
[আরও পড়ুন:মর্মান্তিক দৃশ্য বিহারে! ফাঁকা স্টেশনে মৃত মাকে জাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা শিশুর]
বেঙ্গালুরুর এক যৌনকর্মী রোজি জানান, “এক ব্যবসায়ী মাঝে মধ্যে তাঁর সঙ্গে সময় কাটাতে শহরে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ লকডাউনের ফলে তিনি আসতে পারেননি। তাই অনলাইনেই যোগাযোগ রাখছেন তারা। জুম কলের সাহায্যে তারা ভিডিও চ্যাট করেন।” কিন্তু এই পেশায় অনলাইনে টাকা ধার্য হয় কীভাবে? যৌনকর্মী জানান যে অনলাইনেও ঘণ্টার হিসেবে টাকা ধার্য করা হয়। অনলাইনেই টাকা পাঠান গ্রাহকরা। তবে আরও এর যৌনকর্মী রূপার কথায়, “অনেক গ্রাহকরাই প্রতারণা করে পরে টাকা পাঠান না। তাই এবার থেকে পেটিএম বা গুগল পে-তে টাকা নিয়ে তারপরই ভিডিও চ্যাট শুরু করি।” এতো গেল টেক স্যাভি যৌনকর্মীদের কথা। আর যাঁরা এখনও শিখে উঠতে পারেননি স্মার্ট ফোনের ব্যবহার? কী করবেন তারা? সেই উত্তর, এখনও অধরা।
[আরও পড়ুন:রেলের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ, প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি মমতার]
The post লকডাউনে স্পর্শে ‘না’, অনলাইনে পেশা বাঁচানোর চেষ্টা বেঙ্গালুরুর যৌনকর্মীদের appeared first on Sangbad Pratidin.