সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিডনিতে ইতিহাস। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম সিরিজ জয় ভারতের। আর দেশকে এই বিরল সাফল্য এনে দিয়ে আপ্লুত ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। বিশ্বকাপ জয়ের সময় টিমের সবথেকে তরুণ ক্রিকেটার ছিলেন। এখন অনেক পরিণত। উপমহাদেশের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এই রেকর্ড তৈরি করে বিরাট জানালেন, বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও এই জয় অনেক বড়। টিমকে নতুন পরিচিতি দিল।
পঞ্চমদিন কোনও খেলা হয়নি। বৃষ্টির জন্য টেস্ট ড্র ঘোষণা করেন ম্যাচের আম্পায়াররা। অস্ট্রেলিয়ায় ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জেতে ভারত। এর আগে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত, কোনও উপমহাদেশের টিমই অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিততে পারেনি। এই বিরল রেকর্ড এখন একমাত্র বিরাটের মুকুটে। জয়ের পর স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাকে নিয়ে মাঠে নেমে পড়েন বিরাট কোহলি। আবেগে ভাসলেন কোচ রবি শাস্ত্রী সহ গোটা টিম। মাঠের মধ্যেই নাচতে শুরু করেন পূজারা, পন্থ, বুমরাহরা। সাংবাদিক বৈঠকে এসে বিরাট বলেন, “এখনও পর্যন্ত এটাই আমার কাছে সেরা জয়। জীবনের সবথেকে বড় সাফল্য। ২০১১ বিশ্বকাপের সময় আমি অনেক তরুণ ছিলাম। দেখেছিলাম, সবাই আবেগে ভাসছে। এই সিরিজ আমাদের এক অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। এমন একটা সিরিজ জয় করলাম, যাতে গর্ব হচ্ছে।” গত অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঘটনাচক্রে সেবার এই সিডনি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় বিরাট কোহলির। সেই সিডনিতেই ইতিহাস তৈরি করল বিরাট ব্রিগেড। জয়ের পর অধিনায়ক বলেন, “দেশের অধিনায়ক হওয়ার পরই আমার মানসিকতা বদলানো শুরু করে। এবার অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিতে আমি গর্বিত। দেশের ক্রিকেটারদের নেতৃত্ব দিতে পেরে আপ্লুত। এই মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।”
ময়ঙ্ক, বুমরাহ, ঋষভের পাশাপাশি ম্যান অফ দ্য সিরিজ চেতেশ্বর পূজারার প্রশংসা করলেন বিরাট। তিনি বলেন, “চেতেশ্বর পূজারার নাম বিশেষভাবে বলতে চাই। ও যে কোনও পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে। ভাল ক্রিকেটারদের পাশাপাশি ও সত্যি খুব ভাল মানুষ। ময়ঙ্কের কথাও বলতে চাই। বক্সিং ডে টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার ভাল বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। ঋষভও দারুণ খেলেছে। টিমের আক্রমণকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। ভাল ব্যাট করলে বোলারদের চাপ কমে। কিন্তু এই সিরিজে বোলাররাও আধিপত্য দেখিয়েছে। গত দুই সফরেও একইভাবে ভাল পারফর্ম করেছে বোলাররা। এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটে এমন পারফরম্যান্স দেখিনি। এই জয় ভারতীয় ক্রিকেটে উদাহরণ হয়ে থাকবে। অন্য বোলাররাও এর থেকে শিখতে পারবে।” টানা ১৯ দিনের টেস্ট সিরিজ। ক্লান্তি কাটিয়ে একটু ফুরফুরে মেজাজে থাকতে চায় টিম। সিরিজ জয়ের পর এবার সেলিব্রেশন। বিরাট বললেন, “অনেক রাত পর্যন্ত সেলিব্রেশন চলবে। টেস্ট ক্রিকেটও শেষ। সকালে অ্যালার্ম থাকবে না। এবার অনেকটা চাপ শেষ। অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় সমর্থকরাও দারুণ ছিল। মনেই হয়নি আমরা বিদেশ সফরে এসেছি। প্রত্যেক ম্যাচে প্রচুর সমর্থক ছিল।”
The post এই জয় সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি, অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে তৃপ্ত বিরাট appeared first on Sangbad Pratidin.