সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজব খেয়ালে ‘ভয়ংকর’ সেজে বিপাকে তরুণ। অ্যান্টনি লোফ্রেডো (Anthony Loffredo) থেকে নিজেকে ‘ব্ল্যাকে এলিয়েনে’ পরিণত করেছেন তিনি। ব্ল্যাক এলিয়েনের মাথা থেকে পা পর্যন্ত ট্যাটু। মুখের আকৃতিও পরিবর্তিত। এমন চেহারা যা দেখে যে কেউ চমকে উঠবে। শখ পূরণে এমন কাজ করেই বেকায়দায় পড়েছেন তরুণ অ্যান্টনি। সম্প্রতি নিজেই জানিয়েছেন, ভয়ংকর চেহারার জন্য কেউ তাকে চাকরি দিচ্ছে না।
অ্যান্টনি লোফ্রেডো সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া (Social Media) শেয়ার করেন নিজের একটি ভিডিও। ব্ল্যাক এলিয়েন রূপী সেই ভিডিও মুহূর্তে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টনির মাথা থেকে পা পর্যন্ত রঙিন ট্যাটু। মাথার চুলও উড়িয়ে দিযেছেন, সেখানেও ট্যাটু সাজ। এমনকী জিভ কেটে দু’টি ভাগ করেছেন। এছাড়াও যুবক নাক, কান এবং থুতনিতে বিভিন্ন ধরনের জিনিস ইম্প্লান্ট করিয়েছেন। সবটা মিলিয়ে যাকে বলে ভয়াল আকার ধারণ করেছে তাঁর চেহারা। এই অন্যরকম চেহারাই এখন মহা অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে, সম্প্রতি একটি পডকাস্ট চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যুবক।
[আরও পড়ুন: ফের ধাক্কা নীরব মোদির, হংকংয়ে ব্যবসায়ীর বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি]
অ্যান্টনি জানিয়েছেন, এই চেহারার জন্যই নাকি কেউ তাঁকে চাকরি দিচ্ছে না। সকলেই তাঁকে দেখে ভয় পান এবং দূরে দূরে থাকেন। ফলে চাকরি দেওয়া তো বহূদূরের কথা! পডকাস্ট চ্যানেলের সঞ্চালকের প্রশ্নের জবাবে অ্যান্টনি বলেন, “এমন বহু মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, যাঁরা আমাকে দেখে ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন এবং দৌড়ে পালান। আমি স্বাভাবিক মানুষ কিন্তু লোকে ভাবে পাগল।”
[আরও পড়ুন: শুধু ডোকলাম-গালওয়ান নয়, নিরাপত্তা পরিষদে জায়গা পেতেও চিনের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে ভারতকে]
বছর চৌত্রিশের অ্যান্টনি জানান, তিনি কাউকে অস্বস্তিতে ফেলতে চান না। সেই কারণে রাস্তায় হাঁটার সময় সাধারণ মানুষের থেকে দূরে দূরে থাকেন। এরপরেও অনেকে তাকে দেখে ভয়ে পালায়। অ্যান্টনি আরও বলেন, “সকলে সবকিছু নাই বুঝতে পারেন। আমিও অনেক মানুষকে বুঝতে পারি না। এটাই জীবন।” উল্লেখ্য, যতই কিছু মানুষ অ্যান্টনি লোফ্রেডোর ভয়ংকর চেহারা দেখে ভয় পান, ইনস্টাগ্রামে তাঁর ফলোয়ারের সংখ্যা ১.২ মিলিয়ান। অর্থাৎ বহু মানুষের কাছে এই ‘আজব’ মানুষটাই পছন্দের ব্যক্তিত্ব।