সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুয়েক আগে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। মৃত্যু হয়েছিল একাধিক চিনা (China) নাগরিকের। এবার সেই বিস্ফোরণের আঁচ পড়ল পাকিস্তান-চিন সম্পর্কেও। নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে পাকিস্তানের বাঁধের কাজ অসমাপ্ত রেখেই ইসলামাবাদ ছাড়ল এক চিনা সংস্থা। বেজিংয়ের সংস্থার এহেন আচরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
পাকিস্তানের খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশে দাসু (Dasu Dam) নদীর উপর বাঁধ তৈরির কাজ করছিল চিনা সংস্থা CGGC। তৈরি হচ্ছিল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পও। শুক্রবার ওই প্রদেশেরই উত্তরের আপার কোহিস্তান জেলায় একটি বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বাসে একাধিক চিনা ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। যাঁরা দাসু নদীর উপর বাঁধ তৈরির কাজে যুক্ত ছিলেন বলে খবর, তাঁদের কয়েক জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, ওই বাসটির গন্তব্য ছিল দাসু বাঁধ। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাঁধ নির্মাণের কাজ বন্ধ করে দেয় চিনা সংস্থা।
[আরও পড়ুন: সুখবর! ইউরোপের ১৬টি দেশে ছাড়পত্র পেয়ে গেল COVISHIELD]
এ প্রসঙ্গে চিনা সংস্থা CGGC’র তরফে জানানো হয়েছে, ১৪ জুলাইয়ের বিস্ফোরণে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার জেরে দাসু বাঁধ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছি। উল্লেখ্য, এই বাঁধ চিন পাকিস্তানের ইকোনমিক করিডোরের CPEC প্রকল্পের অংশ। এই বিস্ফোরণের জেরে CPEC প্রকল্পের কাজও ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছে পাকিস্তানের একা্ংশ। এদিকে বিস্ফোরণে যুক্ত থাকা সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানকে নির্দেশ দিয়েছে বেজিংও। দ্রুত দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ইমরান সরকার। কিন্তু এই বিস্ফোরণের জেরে যে চিন-পাকিস্তান সম্পর্ক ধাক্কা খেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের (Pakistan) এক বাসে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Massive blast) মৃত্যু হয় অন্তত ১৩ জন যাত্রীর। জানা গিয়েছে, IED বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল জঙ্গিরা। আর তার জেরেই ঘটে যায় প্রচণ্ড বিস্ফোরণ। নিহত ১৩ জনের মধ্যে ৯ জন চিনা ইঞ্জিনিয়ার।