সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁর উপর আস্থা রেখেছিলেন। আগের ম্যাচে জঘন্য পারফরম্যান্সের পরও ভাইজ্যাগে তাঁকে প্রথম একাদশে রেখেছিলেন। সেই প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ অবশেষে কোচের আস্থার দাম দিলেন। তাঁর পেস এবং কুলদীপের ঘূর্ণির দুর্বিপাকে পড়ে ভাইজ্যাগে বড় রান করতে ব্যর্থ হল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৭০ রান তুলল তারা। রানটা এই পিচ এবং পরিস্থিতিতে বিরাট কিছু নয়। অন্তত রাতের দিকে শিশির পড়লে এই রান তুলতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
২০ ম্যাচ পর শনিবার ভাইজ্যাগে টস জেতেন ভারত অধিনায়ক রাহুল। প্রত্যাশিতভাবেই তিনি প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমে বল করতে গিয়ে শুরুটা ভালোই হয় টিম ইন্ডিয়ার। প্রথম ওভারেই অর্শদীপের বলে ফেরেন ওপেনার রিকেলটন। তারপরই অবশ্য পালটা মার শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অধিনায়ক বাভুমা এবং ডি'কক ১১২ রানের জুটি বাঁধলেন। বাভুমা আউট হওয়ার পরও ব্রিৎজকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন ডি'কক। সেই জুটিও তোলে ৬৪ রান। ততক্ষণে ৬ রানের কাছাকাছি গড়। সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন ডি'কক। দেখে মনে হচ্ছিল অন্তত সাড়ে তিনশো পেরোবে দক্ষিণ আফ্রিকা।
তারপরই প্রত্যাঘাত প্রসিদ্ধর। এক ওভারে তিনি ফিরিয়ে দিলেন ডি'কক এবং মার্করামকে। দুজনেই প্রোটিয়া ব্যাটিংয়ের স্তম্ভ। ফলে কোমর ভেঙে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর শুরু হয় কুলদীপের ম্যাজিক। একে একে তিনি আউট করে দেন ব্রেভিস, জ্যানসেন, বশ এবং এনগিডিকে। এর মধ্যে এক ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই বিধ্বংসী ব্যাটার ব্রেভিস ও জ্যানসেনকে ফেরান তিনি। শেষ পর্যন্ত প্রোটিয়ারা অলআউট হয়ে যায় ২৭০ রানে। প্রসিদ্ধ এবং কুলদীপ দুজনেই চারটি করে উইকেট পান।
সব ঠিক থাকলে এই রান তুলতে খুব একটা অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ভারতের। এমনিতে এই পিচে পেসারদের জন্য বাড়তি কোনও সহায়তা নেই। স্পিনাররা সামান্য সাহায্য পাচ্ছেন বটে কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে শিশির পড়লে সেটা পাবেন কিনা সংশয় আছে। তাছাড়া রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি দুজনেই ভালো ছন্দে। ফলে রান তাড়া করতে একটা বেগ পাওয়ার কথা নয় টিম ইন্ডিয়ার।
