সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৭ বছরের অপেক্ষার অবসান। ফের মুম্বইয়ের ঘরে ইরানি ট্রফি। অবশিষ্ট ভারতকে রাহানেরা হারালেন প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সৌজন্যে। রনজির পর এবার ইরানি ট্রফিও জিতল মুম্বই। এই নিয়ে ১৫বার ইরানি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হল মুম্বই। দ্বিশতরান করে ম্যাচের সেরা সরফরাজ খান।
প্রথম ইনিংসে মুম্বই করেছিল ৫৩৭ রান। ২২২ রান করে অপরাজিত ছিলেন সরফরাজ খান। তবে তিনি একা নন, দুরন্ত পারফর্ম করেছিলেন মুম্বইয়ের অন্যান্য ব্যাটাররাও। অল্পের জন্য সেঞ্চুরির সুযোগ হারান অধিনায়ক অজিঙ্ক রাহানে। তিনি করেছিলেন ৯৭ রান। শ্রেয়স আইয়ার করেন ৫৭ রান ও তনুষ কোটিয়ান করেন ৬৪ রান।
জবাবে অবশিষ্ট ভারতের অভিমন্যু ঈশ্বরণ অসাধারণ ইনিংস খেলেছিলেন। ১৯১ রান করে তিনি লড়াই চালিয়েছিলেন। সঙ্গী বলতে একমাত্র ছিলেন ধ্রুব জুড়েল। তিনি করেছিলেন ৯৩ রান। রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ঈশান কিষান, দেবদত্ত পাড়িক্কল কেউই বড় রান পাননি। সামস মুলানি ও তনুষ কোটিয়ানের বোলিংয়ে অবশিষ্ট ভারতের ইনিংস থেমে যায় ৪১৬ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা বিপদে পড়েছিল মুম্বই ব্যাটারদের। রান পেলেন পৃথ্বী শ। তিনি করেন ৭৬ রান। কিন্তু তার পরই ধস নামে। এক সময় ১২৫ রানের মধ্যে ৬ উইকেট পড়ে যায়। তার পরই প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তনুষ। তিনি অপরাজিত রইলেন ১১৪ রানে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট তুললেও এই ইনিংসে মাত্র ১ উইকেট পেলেন মুকেশ কুমার। বরং ৬ উইকেট নিয়ে অবশিষ্ট ভারতের জন্য আশা জাগিয়েছিলেন সারাংশ জৈন।
কিন্তু তনুষের ব্যাটে প্রতিহত হয়ে যায় অবশিষ্ট ভারতের লড়াই। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই ৮ উইকেট হারিয়ে করে ৩২৯ রান। প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সৌজন্যে ইরানি ট্রফি জিতল মুম্বই। ম্যাচের সেরা সরফরাজ খান।