সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে জেলযাত্রা হয়েছিল 'পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ' (পিটিআই) দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক ইমরান খানের। এবার জেলযাত্রার মুখে বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গাও (Arjuna Ranatunga)। তাঁর বিরুদ্ধে আনা হয়েছিল ৪৫ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ। যা প্রমাণিত হয়েছে। আপাতত বিদেশে রয়েছেন রণতুঙ্গা। দেশে ফিরলেই তাঁকে গ্রেফতার করা হবে জানা গিয়েছে।
ক্রিকেট থেকে অবসরের পর রাজনীতিকে রাজনীতিকে বেছে নিয়েছিলেন রণতুঙ্গা। শ্রীলঙ্কার পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর পদেও বসেছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি টাকার বিনিময়ে বেশ কিছু সংস্থাকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন। রণতুঙ্গা তো বটেই তাঁর ভাই প্রসন্ন রণতুঙ্গার বিরুদ্ধেও অভিযোগ ছিল, ব্যবসায়ীকে হুমকি দিয়ে তোলাবাজি করেছিলেন তিনি। এর জন্য অতীতেও দু'বছরের জন্য কারাবাসের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
এহেন প্রসন্ন ছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন পর্যটনমন্ত্রী। তাঁকে গত মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আর এবার অর্জুন রণতুঙ্গা তো বটেই তাঁর তাঁর দাদা ধাম্মিকা রণতুঙ্গার বিরুদ্ধে তেল ক্রয় চুক্তিতে প্রচলিত নিয়মকানুনের বদল-সহ একাধিক অভিযোগ। নিয়মিত পদ্ধতির বদলে তাঁরা স্পট মার্কেট থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এর ফলে অনেক বেশি দামে তেল কিনতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
রণতুঙ্গা যে সময় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ছিলেন, সেই সময় একটি পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান ছিলেন ধাম্মিকা। দু'জনের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার ধাম্মিকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। শ্রীলঙ্কার পাশাপাশি আমেরিকারও নাগরিকত্ব রয়েছে তাঁর। তাই জামিনে ছাড়া পেলেও তিনি যাতে শ্রীলঙ্কা ছাড়তে না পারেন, সেই ফরমান জারি হয়েছে।
তদন্ত কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, এই সব চুক্তি হয়েছিল ২০১৭ সালে। সেখানে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, '২৭টি সংস্থাকে বেআইনিভাবে বরাত পাইয়ে দিয়েছলেন রণতুঙ্গা। এর জন্য ৪৫ কোটি টাকা নিয়েছিলেন তিনি।' উল্লেখ্য, গত বছর ক্ষমতায় আসার পর শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনুরা কুমার দিশানায়েক দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে কড়া মনোভাব পোষণ করেছেন। এর জন্য একটা কমিশনও গঠন করা হয়। সেই কমিশনই অর্জুন রণতুঙ্গাকে দোষী সাব্যস্ত করে গ্রেপ্তারির কথা বলা হয়েছে। বলা চলে, তিনি এখন জেলযাত্রার মুখে।
উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর পাশাপাশি ১ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁকে। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। তাছাড়াও আরও নানান মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে এখন তাঁর ঠিকানা কারাগারেই। আর এবার আরেক বিশ্বজয়ী অধিনায়ক অর্জুন রণতুঙ্গাও গ্রেপ্তারির মুখে।
