সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন কংগ্রেসে (USA Congress) পাশ হয়ে গেল ঋণের উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর বিল। রিপাবলিকানদের আধিপত্য সত্ত্বেও ডেমোক্র্যাটদের আনা বিলে সমর্থন দেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের দলের সদস্যরা। জানা গিয়েছে, প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন কংগ্রেসের ৩১৪ জন সদস্য। বিল পাশের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden) বলেন, দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই এই বিল পাশ করানো খুব প্রয়োজন ছিল। প্রসঙ্গত, ৫ জুনের মধ্যে ঋণ নেওয়ার উর্ধ্বসীমা না বাড়ালে আমেরিকার (USA) অর্থনীতি ধসে পড়বে বলেই আশঙ্কা ছিল অর্থনীতিবিদদের।
বেশ কিছুদিন ধরেই ঋণ নেওয়ার উর্ধ্বসীমা নিয়ে আলোচনা চলছে মার্কিন কংগ্রেসে। নানা খাতে খরচ মেটানোর জন্য যথেচ্ছ ঋণ নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এই ঋণ শোধ করতে গিয়ে একেবারে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে আমেরিকা, এমনটাই আশঙ্কা করেছিলেন অর্থনীতিবিদরা। তাঁদের দাবি, দ্রুত ঋণ নেওয়ার উর্ধ্বসীমায় রাশ টানুক মার্কিন কংগ্রেস। কিন্তু আবারও ঋণ নিয়ে সরকারি খরচ মেটানোর পথেই হাঁটল আমেরিকা।
[আরও পড়ুন: বাংলায় বাড়ছে পদোন্নতির সুযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি সরকারি কর্মীরা]
জানা গিয়েছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবর্ষ পর্যন্ত কার্যকরী থাকবে নয়া উর্ধ্বসীমা। তবে শর্ত দেওয়া হয়েছে, সরকারকেও খরচের পরিমাণ কমাতে হবে। বিল প্রসঙ্গে মার্কিন স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বলেছেন, “আমেরিকার অবস্থা ফেরাতে এই বিল পাশ করা খুবই জরুরি ছিল।” ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, রিপাবলিকানদের সমর্থন না থাকলে এই বিল পাশ করানো যাবে না সেটা ম্যাকার্থি বুঝেছিলেন। সেই জন্যই নিজে দায়িত্ব নিয়ে রিপাবলিকানদের সমর্থন জোগাড় করেছিলেন। তবে কট্টরপন্থী ৭১জন সদস্য এই বিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
চলতি সপ্তাহের শেষেই এই বিল পেশ করা হবে মার্কিন সেনেটে। ডেমোক্র্যাটিকদের অধীনে থাকা সেনেটে খুব সহজেই বিলটি পাশ হয়ে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, সরকারি খরচ কমানো নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক করেছেন বাইডেন। আগামী দিনে খরচ কমাতে গেলে কোপ পড়বে চাকুরীজীবীদের উপরেও। বেতন দিতে না পেরে কর্মীদের ছাঁটাই শুরু হবে বলেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন হোয়াইট হাউসের বিশেষজ্ঞরা।