আকাশ মিশ্র: হঠাৎই রেডিওর স্টুডিওতে ফোন আসে, মুম্বইয়ে সি লিঙ্ক ব্রিজ উড়িয়ে দেওয়া হবে। যিনি বিস্ফোরণ করবেন, ফোনে স্পষ্ট জানান এর নেপথ্যের কারণও। হঠাৎ করেই রেডিও জকি অর্জুন পাঠক এই বিস্ফোরণের খবরকেই তুরুপের তাস বানিয়ে ফিরতে চান টিভি সঞ্চালকের আসনে। তারপর ‘ধামাকা’ (Dhamaka) ছবিতে যা ঘটে তা বেশিক্ষণ আর দেখা যায় না।
নানা চ্য়ানেলের মধ্য়ে ব্রেকিং নিউজের লড়াই, টিআরপির খেলা, অফিস কলিগদের পিছনে ছুরি মারার গল্পকেই সি-লিঙ্ক বিস্ফোরণের সঙ্গে যুক্ত করে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন পরিচালক রাম মাধবনি। আর এক সঙ্গে অনেকগুলো বিষয় দেখাতে গিয়েই গল্পের গরু গাছে ওঠার আগেই ল্য়াজে গোবরে! তাই ১ ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের এই ছবি প্রথম আধঘণ্টার পরই মাথা ব্যথার কারণ হয়ে যায়।
২০১৩ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান ছবি ‘দ্য টেরর লাইভ’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয়েছে ‘ধামাকা’। তবে কোরিয়ান ওই ছবিকে কপি পেস্ট করতে গিয়ে এবং তার সঙ্গে ভারতীয় ছবির উপাদান মেশাতে গিয়েই গণ্ডগোল করে ফেললেন পরিচালক রাম। যার ফলে, ছবির উদ্দেশ্য ও বিধেয় কিছুই বোঝা গেল না।
[আরও পড়ুন: Olpo Holeo Sotti Review: অপূর্ণ ভালবাসাই ‘অল্প হলেও সত্যি’ ছবির প্রাণভোমরা ]
নানা টিভি চ্যানেলদের মধ্য়ে ব্রেকিং নিউজ দেওয়ার লড়াই। টিআরপির খেলা। আর এর মাঝে পড়ে এক সাধারণ মানুষের প্রতিবাদ। সব কিছুকেই ‘ধামাকা’ ছবির চিত্রনাট্যে এনেছেন পরিচালক। কিন্ত এর মধ্যে ছবির নায়কের দাম্পত্যের অশান্তিকে ঢুকিয়েই গণ্ডগোল করেছেন। টিআরপি উঠলে নায়কের সম্পর্ক বাঁচবে! চিত্রনাট্য়ে এই মোচড়টা না আনলেই পারতেন তিনি। অন্যদিকে, খবর জোগাড় করতে গিয়ে সাংবাদিক স্ত্রীয়ের লাইভ খবরে আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠাটাও বেশ চোখে লাগে।
অভিনয়ের দিক থেকে গোটা ছবিতে কেউই ছাপ রাখতে পারেননি। কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan) ফের প্রমাণ করলেন, লাভ রঞ্জনের মজার ছবির জন্যই তিনি ঠিক আছেন। একটু ভারী চিত্রনাট্য হলেই, দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি।
সবশেষে বলা যায়, ধামাকা এমন এক ছবি যা কিনা হাজার চেষ্টা করেও রহস্য জন্ম দিতে পারে না। ছবিতে এমন কিছু নেই, যার জন্য ছবিটা দেখা যেতে পারে।