সুপর্ণা মজুমদার: শরীর নিয়ে ছুৎমার্গ নতুন নয়। একাধিকবার তা সিনেমা বা সিরিয়ালের বিষয়বস্তু হয়েছে। সেই তালিকায় নতুন সংযোজন সোনাক্ষী সিনহা ও হুমা কুরেশি অভিনীত ছবি ‘ডাবল এক্সএল’ (Double XL)। কী বিষয় নিয়ে ছবি, তা নামেই স্পষ্ট।
কাহিনি অনুযায়ী উঠতি ফ্যাশন ডিজাইনার সায়রা (সোনাক্ষী সিনহা) চায় নিজের ক্লোদিং লাইন লঞ্চ করতে। অন্যদিকে মীরাটের বাসিন্দা রাজশ্রীর (হুমা কুরেশি) স্বপ্ন স্পোর্টস প্রেজেন্টার হওয়া। দু’জনের স্বপ্নের পথে অন্তরায় শুধু একটি, তাঁদের স্থূলকায় শরীর। মোটা হওয়ার কারণে দুই চরিত্রকে প্রচুর কথা শুনতে হয়। প্রেমেও প্রতারিত হয় সায়রা। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। দুঃখের এই সময় নিজের মতোই আরেক মোটা মেয়েকে বন্ধু হিসেবে খুঁজে পায়। আর পায় তামিল ফটোগ্রাফার শ্রীকান্ত এবং লাইন প্রোডিউসার জোরাবরকে। শুরু হয় প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই।
[আরও পড়ুন: একাই দশজন ভিলেনকে শায়েস্তা করবেন হিমেশ রেশমিয়া! প্রকাশ্যে ‘ব্যাডঅ্যাস রবিকুমার’ ছবির টিজার]
এই সিনেমা দেখার জন্য মগজাস্ত্রটি খুব একটা খাটাতে হবে না। কারণে গল্পে এমন কিছু নেই যা আগে থেকে আন্দাজ করা সম্ভব নয়। সোনাক্ষী (Sonakshi Sinha) এবং হুমার (Huma Qureshi) অভিনয়ে এমন জোর নেই, যাতে তাঁরা সিনেমা হলে দর্শক টানতে পারেন। অবশ্য দুই অভিনেত্রী সমাজকে দোষারোপ করা কিছু সংলাপ ছাড়া আর যেন কিছু করারই সুযোগ পাননি। মোটা হওয়া শুধুমাত্র মহিলাদের সমস্যা নয়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই সমস্যা হতে পারে। নিজেকে ঠিক দেখানোর জন্য অন্যকে যে ভুল দেখাতেই হবে তার তো কোনও মানে নেই!
সে যাই হোক, সিনেমার বিষয়ে ফিরে আসা যাক। জোরাবর হিসেবে জাহির ইকবাল বড়ই দুর্বল। শ্রীকান্তের ভূমিকায় তামিল মহৎ রাঘবেন্দ্র প্রত্যাশা জাগিয়েছিলেন, তবে তাঁর সুযোগ অত্যন্ত কম ছিল। শিখর ধাওয়ান, কপিল দেবের মতো ক্রিকেটার ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করেছেন। শুধু সেটুকুই এ ছবির USP। বাকি সমস্ত কিছু দুর্বল চিত্রনাট্যের চোরাবালিতেই হারিয়ে গিয়েছে। সবশেষে একটিই কথা ‘ডাবল এক্সএল’ সিনেমা সম্পর্কে বলা যায়, শরীরে মেদ থাক বা না থাক, সিনেমায় তা কখনই কাম্য নয়।
ছবি- ডাবল এক্সএল
অভিনয়ে – সোনাক্ষী সিনহা, হুমা কুরেশি, জাহির ইকবাল, মহৎ রাঘবেন্দ্র
পরিচালনায় – সৎরাম রামানি