সুপর্ণা মজুমদার: ২০১৯ সালে কথার উসকানিতে ‘ড্রিম গার্ল’ হয়েছিলেন আয়ুষ্মান খুরানা (Ayushmann Khurrana)। এবার পুরদস্তুর লাস্যময়ী হয়ে ক্যামেরার সামনে এসেছেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী অভিনেতা। গোটা সিনেমা একার কাঁধেই টানার চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু পারলেন কই! খাপছাড়া চিত্রনাট্যে গল্প হারালো সিনেমার গতিপথ।
বছর চারেক আগে পূজার কণ্ঠস্বরকে কাজে লাগিয়েছিলেন আয়ুষ্মান। এবার গোটা শরীরকেই হাতিয়ার করেছেন। আর ‘ড্রিম গার্ল ২’ (Dream Girl 2) দেখার পর মানতেই হবে, সত্যিই যদি আয়ুষ্মান মহিলা হতেন তাহলে দীপিকা, ক্যাটরিনাদের জোর টক্কর দিতেন। সিনেমার শুরুতেই গান। হিরো হিসেবে করমবীর ওরফে করম সিং হিসেবে আয়ুষ্মান খুরানার আবির্ভাব। চারপাশে ধার-দেনা, ক্রেডিট কার্ডের লোন, এসব নিয়েই সংসার করম ও তার বাবা জগজিতের (অন্নু কাপুর)। দু’জনের পরিবারের সদস্যের মতো করমের বন্ধু স্মাইলি (মনজোত সিং)। আর রয়েছে করমের প্রেমিকা পরী (অনন্যা পাণ্ডে)।
[আরও পড়ুন: ‘প্রয়োজনে আবারও প্রতিবাদী মঞ্চে যাব’, টেলি সম্মান পেয়েও সোজাসাপটা কৌশিক সেন]
পরীর বাবার শর্ত, তাঁর মেয়েকে বিয়ে করতে গেলে পরমকে ভাল চাকরি আর ২৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে হবে। তাও ছ’মাসের মধ্যে। এই তাগিদেই করমের পূজা হয়ে ওঠা। কিন্তু পূজা এক আর, তার ‘দিওয়ানা’ অনেক। তাতেই বিপত্তি। আখেরে কী হয়, তা দেখতে চাইলে সিনেমা হলে যেতেই পারেন। আয়ুষ্মানকে দেখতে ভালই লাগবে। কিন্তু গল্প সেই গতানুগতিক। তাও আবার বড্ড খাপছাড়া। কোথাকার জল কোথায় গড়াচ্ছে, তা আন্দাজ করা মুশকিল। সাব প্লটের আধিক্যে আসল কাহিনিই ফিকে হয়ে গিয়েছে।
আয়ুষ্মান ভাল, তবে সব সিনেমা যে তিনি একার কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না, তা অভিনেতার বোঝা প্রয়োজন। আগের ছবিতে নুসরত ভারুচা নায়িকা ছিল। তাঁকে বাদ দিয়ে অনন্যাকে আনা হয়েছে। কেন? তা পরিচালক রাজ শান্ডিল্য ও প্রযোজকরাই ভাল বুঝবেন। কিন্তু অনন্যার অভিনয় মন কাড়তে পারল না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অভিনেতাকে কেবল নিঃশব্দ বিপ্লব করে রেখে দেওয়া হল। অন্নু কাপুর, বিজয় রাজ, সীমা পাহওয়া, রাজপাল যাদব, পরেশ রাওয়ালদের চরিত্র বেশ সীমিত। তাতে বিশেষ কিছু করার সম্ভব নয়।
ছবি – ড্রিম গার্ল ২
অভিনয়ে – আয়ুষ্মান খুরানা, অনন্যা পাণ্ডে, অন্নু কাপুর, বিজয় রাজ, সীমা পাহওয়া, রাজপাল যাদব, পরেশ রাওয়াল, মনোজ যোশী, মনজ্যোৎ সিং, রঞ্জন রাজ
পরিচালনা – রাজ শান্ডিল্য
[আরও পড়ুন: ]