সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল পৃথ্বীরাজ সুকুমারণ ও সুরজ ভেঞ্জারামুড়ু অভিনীত মালয়ালম ছবি ‘ড্রাইভিং লাইসেন্স’। সেই সিনেমারই রিমেক ‘সেলফি’ (Selfie)। রাজ মেহতার পরিচালনায় ধর্মা প্রোডাকশন প্রযোজিত এই সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার ও ইমরান হাসমি।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মুক্তি পাওয়া ‘শেহজাদা’ সিনেমাও ছিল রিমেকের ফসল। আর সে ছবি একঘেয়ে গল্প ও দুর্বল পরিচালনার বলি হয়েছিল। ‘সেলফি’র ক্ষেত্রে তা হয়নি। অভিনয় ও স্মার্ট প্রেজেন্টেশনের গুণে এ যাত্রায় অক্ষয়-ইমরানের সিনেমা উতরে গিয়েছে। ‘সূর্যবংশী’র পর থেকে নায়ক অক্ষয়ের (Akshay Kumar) ঝুলিতে তেমন কোনও বলার মতো হিট নেই। সে অভাব ‘সেলফি’ পূরণ করতে পারবে কিনা, তা এখন বলা মুশকিল। তবে এ ছবিতে অক্ষয় অনুরাগীদের মন জয় করার চেষ্টা করেছেন। তাঁর সেই চেষ্টা প্রতি পদে দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শুটিং ফ্লোরেই কষিয়ে চড়! সরোজ খানকে নিয়ে গোপন কথা ফাঁস করলেন শাহরুখ খান]
গল্পে তেমন কোনও হেরফের পরিচালক রাজ মেহতা করেননি। তাতে অক্ষয় হয়েছেন সুপারস্টার বিজয় কুমার। আর তার অন্ধ ভক্ত ভোপালের আরটিও ইনস্পেক্টর ওমপ্রকাশ আগরওয়াল ও তার ছেলে। ভোপালে শুটিং করার সময় ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হয় বিজয়ের। কারণ তা হারিয়ে গিয়েছিল। এমন মুম্বইয়ের আরটিও অফিসে আগুন লেগে আবেদনপত্রটিও জ্বলে গিয়েছিল। সে যাই হোক, বর্তমানে লাইসেন্স পাওয়া নিয়ে কথা। আর তার জন্যই ওমপ্রকাশের সঙ্গে দেখা করতে রাজি হয় বিজয়। দেখা হয়, আর সেই সঙ্গে হয় ভুল বোঝাবুঝি। বিজয়ের মনে হয় ওমপ্রকাশ সুযোগসন্ধানী। তাই নিজের ভক্তকেই অপমান করে বসে সে। এখানেই হয় বিরোধের সূত্রপাত।
বাকি কাহিনি এখানে না বলাই শ্রেয়। এ সিনেমা মূলত অক্ষয় কুমার ও ইমরান হাসমির দ্বৈরথ। আর তাতে অক্ষয়ের থেকেও বেশি নজর কাড়লেন ইমরান হাসমি। অভিনেতা ইমরানকে বলিউড আরও কাজে লাগাতেই পারে। অক্ষয় সুপারস্টারের ম্যানারিজম ধরে রাখবে সক্ষম। তবে আবেগের দৃশ্যে আরও একটু নজর দেওয়া প্রয়োজন। নুসরত ভারুচা, ডিয়ানা পেন্টি শুধু মাত্র দুই নায়কের পাশে থাকার কাজটি করেছেন। মেঘনা মালিক ও অভিমন্যু সিং কমেডির প্রয়োজন মিটিয়েছেন। সিনেমা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও দর্শকদের হলে বসিয়ে রাখবে ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ গান।
সিনেমা – সেলফি
অভিনয়ে – অক্ষয় কুমার, ইমরান হাসমি, নুসরত ভারুচা, ডিয়ানা পেন্টি, মেঘনা মালিক, অভিমন্যু সিং, মহেশ ঠাকুর
পরিচালনায় – রাজ মেহতা