গৌতম ব্রহ্ম: এবার সজনে পাতায় সাজছে স্বনির্ভরতার স্বপ্ন! স্বপ্ন দেখাচ্ছেন এক চিকিৎসক। নাটাবাড়ি ব্লক পাবলিক হেলথ সেন্টারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক অফিসার বাসবকান্তি দিন্দা। আর স্বপ্ন দেখছেন আশিজন মহিলা। মঙ্গলবার কোচবিহারের বলরামপুর কৃষি প্রশিক্ষণ সেন্টারে অনুষ্ঠান করে এদের সবার হাতে ৪ হাজার সজনে গাছের চারা তুলে দেওয়া হল। ২০ বিঘা জমিতে মাথা তুলবে এই চারাগাছ।
প্রথমে তুলসী দিয়ে শুরু হয়েছিল যাত্রা। ‘তুলসী গ্রাম’ হয়ে ওঠা ভেলাপেটা এখন গোটা দেশের কাছে প্রেরণা। তারপর ভেষজ সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় আমলকী, কালমেঘ, হরীতকী, কুলেখাড়া, থানকুনি পাতার চাষ ও বিপণন শুরু। তাছাড়া ভিটামিন এ, সি ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই পাতার পুষ্টিমূল্য অত্যন্ত বেশি। নেতৃত্বে সেই বাসবকান্তি। তিনি জানালেন, “মোরিঙ্গ নামে সজনে পাতার গুড়ো বিক্রি হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ক্যানসার রোধে এই ভেষজ দারুণ কার্যকর। ভাল চাহিদা রয়েছে। বিঘা পিছু বছরে প্রায় ২০ হাজার টাকা রোজগার।”
[আরও পড়ুন: মেলেনি সেচের জল, ধানের চারা তৈরি করেও রোপন করতে পারছেন না বর্ধমান কৃষকরা]
প্রকল্প রূপায়ণে জোট বেঁধেছে তিন সরকারি সংস্থা। পঞ্চায়েত দফতরের অধীনস্থ পশ্চিমবঙ্গ সামগ্রিক উন্নয়ন পর্ষদ, জেলা আয়ুশ বিভাগ, জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন। উপস্থিত ছিলেন শেফালি দাস ও মহম্মদ আজিজ-সহ জেলার আধিকারিকরা। তুফানগঞ্জ এক নম্বর ব্লকের চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আটটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে। যাতে ৮০ জন সদস্য রয়েছেন। এদেরই সজনে চাষের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বাসবকান্তি জানালেন, বিঘাপিছু ২০০ টি করে গাছ লাগানো হবে। পূর্ণবয়স্ক হলে তিন মাস অন্তর গাছের পাতা তোলা যাবে। তাছাড়া সজনে ফুল ও সজনে ডাঁটারও ভাল চাহিদা রয়েছে সবজি বাজারে।