shono
Advertisement

Breaking News

১০০ দিনের কাজে বাড়িতেই মাছ চাষে জোর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের

বিপুল লক্ষ্মীলাভ মৎস্যজীবীদের।
Posted: 06:13 PM Oct 13, 2020Updated: 06:13 PM Oct 13, 2020

সৈকত মাইতি, তমলুক: কর্মসংস্থানের নতুন দিশা দেখাতে বাড়ি বাড়ি বায়োফ্লক নির্মাণের উদ্যোগ নিল পূর্ব মেদিনীপুর (East Medinipur) জেলা প্রশাসন। মূলত, মাছ ভাতে বাঙালির প্রোটিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া মাছ চাষ পুনরায় ফিরিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থানের দিশা দেখাতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস বলেন, “মাছ চাষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ইতিমধ্যে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। তবুও উদ্ভাবনী শক্তি প্রয়োগ করে বিপুল পরিমাণ কাজের সংস্থান করতেই এই উদ্যোগ।”

Advertisement

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নার পাশাপাশি তমলুক, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, নন্দকুমার-সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এখন মাছ চাষে কর্মক্ষেত্রের নতুন দিগন্ত খুলে গিয়েছে। কিন্তু এসবের পরেও ভিনরাজ্য থেকে আসা মাছের উপর নির্ভরতা সম্পূর্ণভাবে কমানো যায়নি এই রাজ্যে। এদিকে আবার করোনা (Coronavirus) আবহে লকডাউনের ফাঁপড়ে পড়ে জেলার বেকার যুবক, পরিযায়ী শ্রমিকরা আজ দিশেহারা। তাই জেলাব্যাপী বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ব্যাপী একশো দিনের প্রকল্পে স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ভাবে চৌবাচ্চা নির্মাণ করে মাছ চাষ শুরু হয়েছে। যা জেলায় অনেকটাই সাড়া ফেলেছে। পাঁশকুড়া, তমলুক, নন্দকুমার-সহ বিভিন্ন ব্লকের ইচ্ছুক যুবক-যুবতীদের নিয়ে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রকল্পের মাছ চাষ শুরু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বাঁশ থেকে চাল উৎপাদন, ক্ষুধা নিবৃতিতে বড় পদক্ষেপ ত্রিপুরার]

কিন্তু অভিনব এই উদ্যোগের মাছ চাষের ক্ষেত্রে এতদিন বঞ্চিত হচ্ছিলেন শহরের বাসিন্দারা। কারণ ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প কেবল গ্রামীণ এলাকায় প্রযোজ্য ছিল। কিন্তু এবার শহরাঞ্চলেও বায়োফ্লকের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি মাছ চাষে উৎসাহ দিতে নতুন এই উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এই পদ্ধতিতে সাধারণত চৌবাচ্চায় মাছ (Fish) চাষের ক্ষেত্রে প্রতিনিয়তই জলের পরিবর্তন ঘটাতে হত। এই প্রকল্পে প্রায় ১৩৪ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে সামগ্রিক অঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ তমলুক প্রকল্প আধিকারিক উত্তম কুমার লাহা বলেন, “১০ লিটার আয়তনের একটি গোল চৌবাচ্চা থেকে বছরে দু’বার চাষের মাধ্যমে ছয় থেকে আট কুইন্টাল ওজনের কই মাছ উৎপাদন করা সম্ভব। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা। উৎপাদন খরচ অর্থাৎ চাষের উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রায় লক্ষ টাকা পর্যন্ত লভ্যাংশ বাড়িতে নিয়ে আসা সম্ভব।”

জেলা পরিষদের প্রাণী ও মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ আনন্দময় অধিকারী বলেন, “ব্যাকটেরিয়া দূষিত অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও নাইট্রেটে পরিবর্তন করে মাছের উপযোগী খাদ্যে রূপান্তরিত করে। একইভাবে চিটে গুড়ে থাকা কার্বন অ্যামোনিয়ার নাইট্রোজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মাছের খাদ্যে রূপান্তরিত হয়। ফলে মাছের চাষে জলের দূষণ কমে যায়।”

[আরও পড়ুন: পিঁয়াজ চাষের মাধ্যমে বিপুল লক্ষ্মীলাভের ভাবনা, উৎসাহ দিতে কৃষকদের দেওয়া হবে অনুদান

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement