সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পর্তুগালের বিশ্বকাপ যোগ্যতা অর্জন পর্বে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। যে কারণে বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। প্রাথমিক ভাবে তাঁকে তিন ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হলেও পরের দুটি ম্যাচের নির্বাসন লাঘু হচ্ছে না। তবে আগামী এক বছরে একই ধরনের অপরাধ ফের করলে তাঁকে নির্বাসিত হতে হবে। যেহেতু এক ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে ফেলেছেন, তাই বিশ্বকাপে খেলতে কোনও বাধাই রইল না রোনাল্ডোর জন্য। তবে অনেকেই মনে করছেন, রোনাল্ডোর মতো মহাতারকা যেন বিশ্বকাপের শুরু থেকেই খেলেন, সেটা নিশ্চিত করার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে ফিফা।
কিন্তু কোন নিয়মে নির্বাসন উঠে গেল? ফিফার তরফ থেকে বলা হয়েছে, 'ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা নিয়মাবলির ২৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, দুটি ম্যাচের নির্বাসনের সময়সীমা আগামী এক বছরের মধ্যে রাখা হয়েছে। যদি তার মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো একই ধরনের অপরাধ করেন, তাহলে তা প্রয়োগ হবে। তখন এই স্থগিতাদেশ বাতিল করে বাকি দুই ম্যাচের নির্বাসন দণ্ড ভোগ করতে হবে।' ওই ধারায় রয়েছে, মাঠে কোনও প্লেয়ারকে কনুই মারলে, ঘুসি মারলে, কামড়ালে বা থুতু দিলে তিন ম্যাচের জন্য নির্বাসিত করা হয়। তবে ফিফার বিচার বিভাগীয় কমিটির হাতে এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগ থাকে। জানা গিয়েছে, পর্তুগালের তরফ থেকে আপিল করার পর মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ফিফা।
উল্লেখ্য, যোগ্যতা অর্জন পর্বে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬১ মিনিটে দারা ও’শেরার সঙ্গে ধাক্কাধাক্কিতে মেজাজ হারান রোনাল্ডো। কনুই দিয়ে আইরিশ ডিফেন্ডারের পিঠে মেরে বসেন। রেফারি প্রথমে তাঁকে হলুদ কার্ড দেখান। পরে ‘ভার’ দেখে সিদ্ধান্ত বদল করেন। সরাসরি লাল কার্ড দেখানো হয়। যে কারণে আর্মেনিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি। তবে সেই ম্যাচে বিরাট ব্যবধানে জিতে বিশ্বকাপের টিকিট হাতে পায় পর্তুগাল।
