দুলাল দে: আগেরদিনই ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সত্যনারায়ণ, আইএসএলের ক্লাবগুলির সিইও-দের চিঠি পাঠিয়ে জানিয়েছিলেন, ক্লাবগুলির সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে জেনারেল বড়ির মিটিংয়ে কিছু এজেন্ডা রাখতে চান। এর আগে ক্লাবগুলি ১৪টি পয়েন্ট নিয়ে যে বিশাল চিঠি ফেডারেশন সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে পাঠিয়েছিল, সেই চিঠির ১২ নম্বর পয়েন্ট উল্লেখ করে সত্যনারায়ণ জানিয়েছিলেন, ২০ ডিসেম্বর ফেডারেশনের যে জেনারেল মিটিং রয়েছে, সেখানে ক্লাবগুলির যৌথভাবে আইএসএল আয়োজন করার বিষয়টি আলোচিত হতে পারে।
ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেলের এ হেন চিঠি পেয়ে সবার আগে চিঠি দিয়ে প্রতিবাদ করেন ফেডারেশেনর কার্যকরী কমিটির সিনিয়র সদস্য অভিজিৎ পাল। তিনি সরাসরি প্রতিবাদ করে সত্যনারায়ণকে চিঠি দিয়ে বলেন, ফেডারেশনের যে কোনও বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার একমাত্র কার্যকরী কমিটি। অথচ সেই কার্যকরী কমিটিকে অন্ধকারে রেখে সত্যনারায়ণ এতবড় সিদ্ধান্তর কথা এককভাবে কী করে ক্লাবগুলিকে জানাতে পারেন? কারণ, এই লিগের সঙ্গে ফেডারেশনের আর্থিক বিষয়টিও জড়িয়ে রয়েছে। ফলে এত গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কথা আগে কার্যকরী কমিটিকে জানানো উচিত ছিল।
পাশাপাশি এদিন সকালেই আইএসএলের ক্লাবগুলির প্রতিনিধি হিসেবে মোহনবাগানের সিইও বিনয় চোপড়া একটা দীর্ঘ চিঠি দিয়ে জানান, স্রেফ মিটিং করার জন্য মিটিং করতে যেতে তাদের কোনও আগ্রহ নেই। কারণ, ক্লাবগুলি সবার আগে চাইছে, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নাগেশ্বর রাওয়ের প্রস্তাব মতো ইন্ডিয়ান সুপার লিগের জন্য বেশ কিছু সংশোধনী আনতে। ২০ ডিসেম্বর জেনারেল বডির মিটিংয়ে হয় ফেডারেশন সেইসব সংশোধনী আনবে। অথবা নিজেদের থেকে উদ্যোগ নিয়ে সংশোধনী আনবে। এই সংশোধনের পর টেন্ডার ডাকা উচিত। যদি ফেডারেশন মনে করে এরপরও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, তারপর লিগের দীর্ঘমেয়াদি অধিকার ক্লাবগুলির হাতে ছেড়ে দিতে পারে। তাই নিয়মাবলী সংশোধনের আগে ২০ ডিসেম্বরের মিটিংয়ে উপস্থিত থেকে ক্লাবগুলির কোনও উদ্দেশ্য সাধিত হবে না।
এর থেকে একটা বিষয় অন্তত পরিস্কার, এফএসডিএলের মতো ক্লাবগুলিও সবার আগে দীর্ঘমেয়াদি লিগের বিষয়ে নিশ্চিত হতে চাইছে। কারণ, চিঠিতে বিনয় চোপড়া জানিয়েছেন, যে ক্ষত তৈরি হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র সাময়িক ব্যান্ডেড লাগিয়ে কোনও লাভ হবে না। তার উপর এফএসডিএলের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায়, ক্লাবগুলির আর্থিক পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। এই অবস্থায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ফেডারেশন সভাপতিকে বলেছেন তিনি।
এদিকে, কার্যকরী কমিটির সদস্য অভিজিৎ পাল আবার ফেডারেশনের কার্যকারীতা নিয়েই একঝাঁক প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফেডারেশনের কার্যকরী কমিটির মিনিটস চেয়ে আসছেন। কিন্তু যা পেয়েছেন, তা অসম্পূর্ণ। পাশাপাশি কার্যকরী কমিটির আরেক সদস্য ভালেঙ্কা আলেমাও সত্যনারায়ণকে চিঠি দিয়ে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেন, নিয়মবিরুদ্ধভাবে ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সত্যনারায়ণ চিঠি দিয়ে আইএসএলের ক্লাবগুলিকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভালেঙ্কা আলেমাও।
