সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বাজেটজুড়ে বিহাররাজ! যেখানে মাখানা বোর্ড গঠনের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। মূলত উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের উন্নতির জন্যই এই পরিকল্পনা। এতে কৃষক এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। কিন্তু এই মাখানাতেই কেন এত গুরুত্ব দেওয়া হল?

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি পুষ্টিকর খাবার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এমনকী যাঁরা ডায়েট করছেন, ওজন কমাতে চান, তাঁদের জন্যও এটি আদর্শ খাবার। আসুন মাখানা বা ফক্স নাট বা পদ্মবীজ নামে পরিচিত এই খাবার কতটা স্বাস্থ্যকর জেনে নেওয়া যাক।
জলখাবার হিসেবে মাখানা দুর্দান্ত একটি খাবার। মাখানা ভাজা বা রোস্ট করার সময় অল্প পরিমাণ নুন এবং মরিচ বা পুদিনা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। ডায়েটিশিয়ান গরিমা গয়াল বলেন, এতে সোডিয়ামের পরিমাণ কম। তাই যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে, তারা নিশ্চিন্তে খান। এছাড়াও মাখানায় রয়েছে ভরপুর ক্যালসিয়াম। যা হাড় এবং দাঁতকে স্বাস্থ্যকর করে তোলে।
মাখানা এবং দুধ উভয়েই পুষ্টিগুণে ভরপুর। মাখানায় রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অন্যদিকে দুধে রয়েছে ভিটামিন ডি এবং বি। প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবার রক্তে শর্করাও নিয়ন্ত্রণ করে। একটি সসপ্যানে দুধ গরম করুন। গরম হয়ে গেলে মাখানা মিশিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট রেখে দিন। নরম হয়ে গেলে খেয়ে নিন। স্বাদ বাড়ানোর জন্য এলাচ, জায়ফল বা দারুচিনি কিংবা কাজু বাদাম, কিশমিস বা শুকনো কিছু ফল মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে স্বাদও হবে দ্বিগুণ। তবে যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা সাবধান। মাখানা খাওয়ার পর যদি চুলকানি, আমবাত বা ফোলাভাব দেখা যায়, তাহলে খাবেন না। অবিলম্বে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে অ্যালার্জি পরীক্ষা করান।
তবে শুধু খাওয়াই নয়, মাখানার ফেস প্যাকও ত্বকের জন্য উপকারী। ২ টেবিল চামচ দুধ ও পাঁচ-ছ’টি মাখানা ভিজিয়ে রাখুন একটি বাটিতে। মাখানা নরম হয়ে গেলে ভালো করে মেখে নিন। মিশ্রণটি মুখে মাখুন। মিনিট দশেক পর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে বলিরেখা পড়ার আগে থেকে এই প্যাক ব্যবহারে তারুণ্য বজায় থাকে। ত্বকের জেল্লাও বাড়ে।