shono
Advertisement

পুজোর শেষদিন হোক মন ভরে পেটপুজো, নবমীর পাত সাজিয়ে ফেলুন এসব লোভনীয় পদে

রইল সহজ, আকর্ষণীয় কয়েকটি রেসিপি।
Posted: 11:29 PM Oct 24, 2020Updated: 11:58 PM Oct 24, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নবমী মানেই পুজো অনেকটা শেষের মুখে। এবছর করোনা আবহে দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) হইহুল্লোড়, আড্ডায় খানিক ছেদ পড়েছে বটে, তবে আনন্দ এতটুকুও কম নয়। ভোজনরসিক বাঙালির পুজো মানেই পেটপুজো । আর সেই রসনা তৃপ্ত হলে, তার চেয়ে বেশি খুশি বোধহয় আর কেউ হন না। উৎসবের প্রহর যখন শেষের দিকে, তখন শেষের সেই আনন্দের স্বাদ আরও বেশি করে চেটেপুটে নিতে চায় মন। শেষ দিনটায় ভালমন্দ খানাপিনা (Puja Food) না হলে কি চলে? মোটেই না। তাই নবমী নিশিতে মনের মতো পাত সাজাতে রইল কয়েকটি সহজ, আকর্ষণীয় রেসিপি।

Advertisement

সয়া বিরিয়ানি

উপকরণ:
বাসমতি চাল – ১ কেজি
সয়াবিন – আধ কেজি
আলু – আধ কেজি
সয়াবিন তেল – আধ কাপ
ঘি – আধ কাপ
কেওড়া জল – ১ টেবিল চামচ
শাজিরা – আধা চা-চামচ
এলাচ ৩-৪টি
দারুচিনি – ২ টুকরো
তেজপাতা – ২টি
লবঙ্গ ৪-৫টি
আদাবাটা – ২ টেবিল চামচ
রসুনবাটা – ১ টেবিল চামচ
পেঁয়াজবাটা – ১ কাপ
মরিচগুঁড়ো – ১ টেবিল চামচ
হলুদগুঁড়ো – আধা চা-চামচ
নুন – প্রয়োজনমতো
টক দই – আধ কাপ
বিরিয়ানির মশলা – ১ টেবিল চামচ
তরল দুধ – ১ কাপ
বেরেস্তা (পিঁয়াজকুচি ভাজা) – ১ কাপ।

[আরও পড়ুন: মনের সুখে মাখন খেলেও বাড়বে না ওজন, বাড়িতেই বাটার বানান এই পদ্ধতিতে]

প্রণালি:

বাসমতি চাল ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখতে হবে। চালের পরিমাণের চার গুণ জলে শাহজিরা, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা, পরিমাণমতো লবণ ও ২ টেবিল চামচ তেল মেশান। সয়াবিনগুলো জলে হালকা সেদ্ধ করে রাখুন। ফুটিয়ে ভেজানো চাল দিতে হবে। চাল যখন আধ সেদ্ধ হবে, তখন জল ঝরিয়ে নিন। অন্য পাত্রে তেল গরম করে আলুগুলো হালকা ভেজে, সামান্য রং হলেই তুলে ফেলুন। ওতে দই দিয়ে দিন। এবার আলু ও সয়াবিনগুলো (Soyabin) দিয়ে দিন। নেড়চেড়ে ২ কাপ জল ও কেওড়াজল দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। আলু ও সয়াবিন সেদ্ধ হলে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে দিতে হবে। ঝোলটা মাখা মাখা করে নামাতে হবে। যে পাত্রে বিরিয়ানি দমে দিতে হবে, সেই পাত্রে অল্প ঘি ছড়িয়ে দিন। ফোটানো ভাত, রান্না সয়াবিন ও কেওড়া দিয়ে ২-৩টি স্তরে সাজিয়ে উপরে ঘি ছড়িয়ে মিশিয়ে দিতে হবে। এবার ১ কাপ দুধে কেওড়াজল মিশিয়ে দিন। খাবারে দেওয়ার রং অল্প দুধে গুলিয়ে ওই ভাতের স্তরে ২টি ছিদ্র করে ঢেলে দিতে হবে। সবার ওপরে দিতে হবে বেরেস্তা। তাওয়ার ওপরে মৃদু আঁচে ২০ মিনিট দমে কষাতে হবে। ২০ মিনিট পর আঁচ বন্ধ করে আরও ১০ মিনিট পর পরিবেশন করুন গরম গরম সয়া বিরিয়ানি।

চিকেন সুইট কর্ন সতে(saute) উইথ হিন্ট অফ পেপার অ্যান্ড পার্সলে

উপকরণ:
চিকেন (বোনলেস) -১০০ গ্রাম
কর্ন – দু’মুঠো
মাখন/ অলিভ অয়েল – ১ চামচ
মাঝারি মাপের পেঁয়াজ কুচি – ১টা
ক্যাপসিকাম – ১ টা ছোট (ঝিরিঝিরি করে কাটা)
চারটে মাঝারি আকারের রসুনের কোয়া – কুচি কুচি করে কাটা
কাঁচালঙ্কা কুচি – ১টি
নুন, চিনি – স্বাদমতো
হাফ ডাস্ট পার্সলে পাতা – ১ চিমটে
সাদা মরিচ গুঁড়ো – ১ চিমটে

[আরও পড়ুন: পুজোয় অভিনব পেটপুজো, কলকাতার এই রেস্তরাঁয় খাওয়া যাবে মাস্ক পরেই!]

প্রণালি:
একটি বাটিতে জল ফুটিয়ে নিন। আঁচ বন্ধ করে সেই জলে চিকেন এবং কর্ন ঢেলে দিন। এক মিনিট রেখে তুলে জল ঝরিয়ে নিন। একটি ফ্রাইং প্যানে মাখন/অলিভ অয়েল দিন। কেউ চাইলে দুটো একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে পারেন। (ইতালিতে অধিকাংশ জায়গায় যেকোনো ডেলিকেট রান্নার জন্য মাখন এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে ব্যবহার করার রেওয়াজ রয়েছে)। মাখন গলে গেলে বা অলিভ গরম হয়ে গেলে তাতে রসুনকুচি দিন, কাঁচালঙ্কাও ঢেলে দিন। দশ সেকেন্ড নাড়ুন, এবার পেঁয়াজ দিয়ে দিন। কুড়ি সেকেন্ড নাড়াচাড়া করুন। এরপর ওতে চিকেন এবং কর্ন দিয়ে তিরিশ সেকেন্ড মতো হালকা আঁচে নেড়ে নিন।

এবার স্বাদমতো নুন এবং চিনি দিয়ে ঝিরিঝিরি করে কেটে রাখা ক্যাপসিকাম ঢেলে দিন। আরও কুড়ি সেকেন্ড নাড়াচাড়া করুন। এই শেষ কুড়ি সেকেন্ড ওভেনের ফ্লেম হাই করে দিন। রান্না শেষ। নামিয়ে সার্ভিং প্লেটে ঢালুন। উপর থেকে এক চিমটে পার্সলে পাতা ছড়িয়ে দিন। মরিচও ছড়িয়ে দিন। যদি থাকে বা ঝাল খেতে ইচ্ছে করে চিলি ফ্লেক্সও ছড়িয়ে দিতে পারেন।
( ককটেল হোক কিংবা মকটেল, কিংবা স্রেফ ঠান্ডা পানীয়। যে কোনও ড্রিংকসের সঙ্গে এই প্রায় মশলাবিহীন ডিশটি যোগ্য সঙ্গত দেবে।)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement