সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তেল রপ্তানিতে করের (Export Tax) পরিমাণ কমাল কেন্দ্রীয় সরকার। লিটার পিছু ৬ টাকা করে কমবে পেট্রল রপ্তানির খরচ। ডিজেলে লিটার পিছু ২ টাকা করে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। অপরিশোধিত তেল (Crude Oil) রপ্তানিতেও কর ছাড় মিলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কিছুটা কমেছে তেলের দাম। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রসঙ্গত, জুলাই মাসের শুরুতেই জ্বালানি রপ্তানিতে করের পরিমান বাড়ানো হয়েছিল।
দেশীয় বাজারে জ্বালানির জোগান কমে যাওয়ার কারণে রপ্তানিতে কর বসানোর কথা জানিয়েছিল কেন্দ্র। বুধবার একটি সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেলের প্রতি টন পিছু সতেরো হাজার টাকা কর দিতে হবে। আগের নিয়ম অনুযায়ী ২৩২৫০ টাকা কর গুণতে হত রপ্তানিকারক সংস্থাগুলিকে। বিমানের জ্বালানিতেও লিটার পিছু ২ টাকা করে ট্যাক্স কমানো হয়েছে। ডিজেলেও একই পরিমাণ কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার অর্থাৎ ২০ জুলাই থেকেই নতুন নিয়মবিধি কার্যকর হবে।
[আরও পড়ুন: দেশে ফের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২০ হাজার পার, টিকাদাতাদের চিঠি পাঠালেন মোদি ]
সেই সঙ্গে আরও জানানো হয়েছে, স্পেশ্যাল ইকোনমিক জোন থেকে কোনও পণ্য রপ্তানি করলে সেই ক্ষেত্রে আবগারি বিভাগ থেকে ছাড় দেওয়া হবে। তবে কোন পণ্যে কত ছাড় দেওয়া হবে, সেই সম্পর্কে বিশদে কিছু জানানো হয়নি। কর কমানোর ফলে রিলায়েন্স (Reliance) এবং ওএনজিসির (ONGC) মতো তেল উৎপাদনকারী সংস্থা গুলি লাভবান হবে। তবে আরও জানা গিয়েছে, প্রতি পনেরো দিন অন্তর কর ছাড়ের পরিমাণ পুনঃমূল্যায়ন করা হবে। ফলে ভবিষ্যতে আবার রপ্তানি ক্ষেত্রে কর বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) ফলে খুব সস্তায় অপরিশোধিত রুশ তেল কিনতে শুরু করেছিল ভারতের সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থাগুলি। অতিরিক্ত মুনাফার লোভে তেল শোধন করার পরে চড়া দামে বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছিল। ফলে টান পড়ছিল দেশীয় বাজারে। সেই কারণেই অতিরিক্ত কর চাপিয়ে দেশের বাজারে তেলের জোগান বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। বুধবার কর কমানোর ঘোষণা করার পরেই লাফিয়ে বেড়েছে তেল সংস্থাগুলির শেয়ার।