সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতিশ্রুতি দিয়েও পূরণ করেনি মোদি সরকার। ৫ দফা দাবিতে ফের রাজপথে কৃষকরা। শুক্রবার আরও এক দফায় 'দিল্লি চলো'র ডাক অন্নদাতাদের। যা রুখে দিতে মরিয়া কেন্দ্র। দিল্লি সীমানায় তাই রীতিমতো রণসাজে প্রস্তুত পুলিশ প্রশাসন। দিল্লি থেকে যাতায়াতের একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে রাজধানীজুড়ে যানজটের আশঙ্কা।
সংযুক্ত কিষান মোর্চার ব্যানারে দিল্লির শম্ভু সীমানায় বেশ কয়েকদিন ধরেই জমায়েত করে রয়েছেন কৃষকরা। শুক্রবার সকাল থেকে জমায়েতের বহর বাড়ছে। মূলত পাঞ্জাব-হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা জমায়েত করছেন। সব মিলিয়ে কয়েক হাজার কৃষক আজ দুপুরে সংসদ ভবনের দিকে মিছিল করে এগোবেন। মূলত শম্ভু সীমানা দিয়েই রাজধানীতে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন তাঁরা। তবে অন্যান্য সীমানা দিয়েও রাজধানীতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারেন কৃষকরা।
দিল্লি প্রশাসন অবশ্য ইতিমধ্যেই রণসাজে প্রস্তুত। যে কোনও মূল্যে কৃষকদের সংসদ চত্বর পর্যন্ত পৌঁছানো আটকাতে চাইছে মোদি সরকার। শম্ভু সীমানায় বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গার্ডরেল, ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। একাধিক স্তরে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। এমনকী কৃষকদের রুখতে কংক্রিটের ব্যারিকেডও করেছে পুলিশ। কৃষকদের মিছিল শুরু হলে শম্ভু বর্ডারে অশান্তির আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। কৃষকদের এই দিল্লি চলো মার্চ রুখতে রাজধানীতে প্রবেশের একাধিক রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে যানজটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কৃষকদের তরফে যে ৫ দফা দাবি তোলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুরনো ভূমি অধিগ্রহণ আইনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ১০ শতাংশ প্লট এবং ৬৪.৭ শতাংশ বর্ধিত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ১ জানুয়ারি, ২০১৪ সালের পর অধিগ্রহণ করা জমির জন্য বাজারমূল্যের চার গুণ ক্ষতিপূরণ এবং ২০ শতাংশ প্লট দিতে হবে। এর পাশাপাশি সকল ভূমিহীন ও ভূমিহীন কৃষকের সন্তানদেরও কর্মসংস্থান ও পুনর্বাসনের সুবিধা দিতে হবে। এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারি নির্দেশিকা জারি করার দাবি জানিয়েছেন কৃষক নেতারা।