সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্র নির্বাচনে হারের জন্য ইভিএমকে দুষেছে বিরোধী শিবির। নির্বাচন কমিশনের ভরসার এই ভোট গ্রহণ যন্ত্র নিয়ে বিতর্ক যখন তুঙ্গে সেই সময় প্রকাশ্যে এল এক ভিডিও। যেখানে এক ব্যক্তি দাবি করেছেন, ইভিএম হ্যাক করা সম্ভব। এবং তিনি তা করতে পারেন। ভাইরাল ওই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। এই ভিডিওর প্রেক্ষিতেই এবার কড়া পদক্ষেপ নিল কমিশন। ভিডিওটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ তুলে মুম্বই পুলিশের সাইবার শাখায় অভিযোগ জানালেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
নির্বাচন কমিশনের তরফে জানান হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি ইভিএম নিয়ে মিথ্যা দাবি করেন, এবং অপপ্রচার চালান সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেবে কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম সৈয়দ সুজা। ভাইরাল ওই ভিডিওতে যুবক দাবি করেছেন, তিনি ইভিএমের ফ্রিকোয়েন্সিতে হেরফের ঘটিয়ে সেটি হ্যাক এবং তথ্যের কারচুপি করতে পারেন। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এই ভিডিও কমিশনের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নেওয়া হয় কমিশনের তরফে। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
শুধু তাই নয় জানা গিয়েছে, ইভিএম নিয়ে ওই যুবকের এহেন দাবি এই প্রথমবার নয়, ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগে সোশাল মিডিয়ায় এমনই দাবি করেছিলেন সুজা। তার প্রেক্ষিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামলার তদন্ত করছে দিল্লি পুলিশ। এবার নতুন করে মুম্বইয়ে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক জানান্ দিল্লি ও মুম্বই পুলিশ যৌথভাবে এই মামলার তদন্ত করবে।
একইসঙ্গে কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, ইভিএম সম্পূর্ণরূপে সুরক্ষিত। এটি ওয়াইফাই বা ব্লুটুথ কোনও কিছুর সঙ্গে সংযোগ করা যায় না। দেশের শীর্ষ আদালতও বার বার ইভিএমের উপর ভরসা রাখার কথা জানিয়েছে। তার পরও এই ধরনের গুজব ছড়ানো হলে তা গুরুতর অপরাধ এবং এই ঘটনায় জড়িতদের কমিশন কোনওভাবে রেহাত করবে না।
