সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ দিনে নবমবার। তাঁর দৌলতেই ভারত ও পাকিস্তানের সংঘর্ষবিরতি সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বার বার ট্রাম্পের এহেন দাবির পরও নরেন্দ্র মোদির মৌনতাকে নিশানা করে সরব হল কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, 'ডোনাল্ডভাই যে দাবি করছেন সে বিষয়ে আমাদের প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন?'
৭ মে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত অপারেশন সিঁদুর শুরু করার পর মাত্র ৪ দিনের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হয় দুই দেশের। এই ঘটনায় ভারতের তরফে জানানো হয়, পাকিস্তানের হটলাইনে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেয় এবং ভারত সেই প্রস্তাবে সম্মত হয়। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়ে দুই দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করিয়েছেন তিনি। ভারত একাধিকবার সে তথ্য খারিজ করলেও কৃতিত্ব নিতে থামেননি ট্রাম্প। গত শুক্রবারও একই দাবি করেছেন তিনি। এই নিয়ে গত ২০ দিনে নবমবার এই দাবি করা হয়েছে ট্রাম্পের তরফে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই মোদির বন্ধু ট্রাম্পকে 'ডোনাল্ড ভাই' আখ্যা দিয়ে সরব হল কংগ্রেস।
এক্স হ্যান্ডেলে এদিন জয়রাম রমেশ লেখেন, '২০ দিনের মধ্যে নবমবার, ৩টি দেশ এবং ৩টি শহরে একই দাবি করলেন ট্রাম্প। ডোনাল্ডভাই ৪ দিনের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য কীভাবে বাণিজ্যকে হাতিয়ার করে দুই দেশের উপর চাপ দিয়ে এই কাজ করেছেন তা সগর্বে বলে বেড়াচ্ছেন। ভারতও পাকিস্তানকে একসারিতে বসানো হচ্ছে। ট্রাম্পের আর্থিক বিষয়ক সচিব ২৩ মে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য দিবসেও একই দাবি করেন। অথচ ডোনাল্ডভাইয়ের দাবিকে পুরোপুরি এড়িয়ে চলছেন তাঁর বন্ধু নরেন্দ্র মোদি। এই বিষয়ে মৌনতার নীতি নিয়েছেন। কেন প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে কিছু বলছেন না? ট্রাম্প কি মোদি যেটাতে অত্যন্ত দক্ষ (মিথ্যা কথা বলা) সেটাই বলছেন? নাকি ৫০ শতাংশ সত্যি কথাও বলছেন?'
উল্লেখ্য, ভারতীয় সেনা, বিদেশ সচিব, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর বারবার জানিয়েছেন, ভারত-পাক সংঘর্ষবিরতিতে তৃতীয় পক্ষের অস্তিত্ব নেই। সম্প্রতি এনডিএ শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই কথা জানান। সূত্রের খবর, অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বলতে গিয়ে মোদি বলেন, পাকিস্তান সরাসরি সংঘর্ষবিরতির অনুরোধ জানাতে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এর মধ্যে তৃতীয় কেউ ছিল না। যদিও প্রকাশ্যে সরাসরি ট্রাম্পের দাবির বিরোধিতা করতে শোনা যায়নি মোদিকে। সেই ইস্যুতেই এবার সরব হল কংগ্রেস।
