সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনার অত্যাচারে নিজের দেশ, ভিটেমাটি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন মায়ানমারের (Mayanmar) বাসিন্দারা। শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন বিভিন্ন দেশে। ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুরেও আশ্রয় নিতে চাইছেন তাঁরা। মায়ানমারের অত্যাচার পীড়িতদের মণিপুরে খাবার বা আশ্রয় দেওয়া যাবে না। এই মর্মে স্থানীয় প্রশাসন নির্দেশিকা জারি করেছিল বলে খবর। পরে অবশ্য সমালোচনার মুখে পড়ে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে নেয় প্রশাসন।
মায়ানমারে কোথাও প্রকাশ্যে নির্বিচারে গুলি চালানো হচ্ছে তো কোথাও এয়ার স্ট্রাইক করছে মায়ানমার সেনা। প্রাণ বাঁচাতে দেশ ছাড়ছেন মায়ানমারবাসী। তাঁর ভারতে আশ্রয় নিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মণিপুরের চাণ্ডেল, তেঙ্গনউপাল, কমজং-সহ একাধিক এলাকায় স্থানীয় প্রশাসনেক উদ্দেশ্যে নির্দেশিকা জারি করেছিল মণিপুর প্রশাসন। যাতে বলা হয়, মায়ানমার থাকা আসা শরনার্থীদের জন্য আশ্রয় বা খাবার না দেয় কোনও সংগঠন। তবে কেউ যদি গুরুতর আহত হন, তাহলে তাঁদের চিকিৎসা করা যেতে পারে। মণিপুর প্রশাসনের এই নির্দেশিকা ঘিরে ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়। এর পরই মণিপুর সরকার নির্দেশিকার কথা অস্বীকার করে।
[আরও পড়ুন: দিল্লিতে পার্কের ভিতরে প্রবীণ বিজেপি নেতার রহস্যমৃত্যু! শুরু তদন্ত]
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই দেশের শাসনক্ষমতা নিজেদের হাতে তুলে নেয় মায়ানমার সেনা। পালটা ক্যু বা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে পথে নামে দেশের আমজনতা। কোথাও তারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তো কোথাও আবার শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছে। রাজধানী নাইপিদাও থেকে শুরু করে ইয়াঙ্গন পর্যন্ত প্রায় সমস্ত বড় শহরে রাস্তায় সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে সরব হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। আর সেই সমস্ত গণতন্ত্রকামী মানুষজনকেই টার্গেট করছে জুন্টা। এলোপাথাড়ি গুলিতে হত্যা করা হচ্ছে তাঁদের।