shono
Advertisement
Basavaraju

মাওবাদের ধড়-মুন্ডু আলাদা! খতম মাওবাদী প্রধান বাসবরাজু, মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি

একসময় অন্ধ্রপ্রদেশ ভলিবল দলের ক্যাপ্টেন ছিল বাসবরাজ।
Published By: Amit Kumar DasPosted: 04:45 PM May 21, 2025Updated: 04:45 PM May 21, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাওবাদী সংগঠনের ধড়-মুন্ডু আলাদা করল নিরাপত্তাবাহিনী। মাও-বিরোধী অভিযানে ছত্তিশগড়ের বস্তারে মৃত্যু হল মাওবাদী সংগঠনের প্রধান কমান্ডার বাসবরাজুর। ৭০-এর দশক থেকে দেশে মাওবাদী সংগঠন পরিচালনা করছিল এই 'লাল সন্ত্রাসী'। দীর্ঘদিন ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর হিটলিস্টে ছিল বাসবরাজু। তার মাথার দাম ছিল ১.৫ কোটি টাকা। এহেন শীর্ষ নেতার মৃত্যু নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে যে বড়সড় সাফল্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

Advertisement

বস্তারে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীর গুলির লড়াইয়ে এখনও পর্যন্ত ২৬ জনের মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এসেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে জানা গিয়েছে, বুধবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ছত্তিশগড়ের অবুজমাঢ় এলাকায় অভিযানে নামে নিরাপত্তাবাহিনী। খবর ছিল, ওই এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে এক মাও কমান্ডার। সেইমতো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এই অবস্থায় পিছু হঠার জায়গা না পেয়ে, রীতিমতো মরিয়া হয়ে নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মাওবাদীরা। পালটা জবাবও দেওয়া হয়। নিরাপত্তাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, দুই পক্ষের গুলির লড়াইয়ে মৃতদের তালিকায় রয়েছে মাওবাদীদের সংগঠনের প্রধান নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে ওই অঞ্চলে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান এখনও জারি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

জানা যাচ্ছে, ২০১৭ সালে মাওবাদীদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতির অসুস্থতার কারণে সংগঠনের দায়িত্ব পায় বাসবরাজু। যদিও ২০১৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মাওবাদীদের সংগঠন বদলের কথা প্রকাশ করা হয়। মাওবাদীদের সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের প্রধান ছিল বাসব। তার নেতৃত্বেই গত দেড় দশক ধরে নিরাপত্তাবাহিনীর উপর যাবতীয় অপারেশন চালানো হয়। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৫৫ সালের ১০ জুলাই অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে জন্ম বাসবরাজুর। পড়াশুনোয় অত্যন্ত মেধাবী বাসবরাজ খেলাধুলাতেও ছিল অত্যন্ত ভালো। রাজ্য ভলিবল দলে অন্ধ্রপ্রদেশের ক্যাপ্টেন ছিল সে। ছাত্র জীবন থেকেই বামপন্থী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে বাসব। ১৯৮০ সালে এবিভিপির এক যুবকের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে গ্রেপ্তার হয়। এরপর সরাসরি মাওবাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে বাসবরাজ। দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এই সংগঠনের একাধিক দায়িত্ব সামলেছে সে।

পুলিশের দাবি, তার নেতৃত্বে ছত্তিশগড়ের নানা প্রান্তে একাধিক প্রাণঘাতী হামলা চালায় মাওবাদীরা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, ২০১৮ সালে সুকমা আইইডি বিস্ফোরণ (৯ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু), ২০১৯ সালে গড়চিরোলি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ (১৫ পুলিশের মৃত্যু), ২০২১ সুকমা-বিজাপুর গুলির লড়াই (২২ নিরাপত্তাবাহিনীর মৃত্যু), ২০২৩ সালে দান্তেওয়াড়া বিস্ফোরণ (১০ জওয়ান ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু), ২০২৫ সালে বিজাপুর বিস্ফোরণ (৮ জওয়ানের মৃত্যু)।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • মাওবাদী সংগঠনের ধড়-মুন্ডু আলাদা করল নিরাপত্তাবাহিনী।
  • মাও-বিরোধী অভিযানে ছত্তিশগড়ের বস্তারে মৃত্যু হল মাওবাদী সংগঠনের প্রধান কমান্ডার বাসবরাজুর।
  • ৭০-এর দশক থেকে দেশে মাওবাদী সংগঠন পরিচালনা করছিল এই 'লাল সন্ত্রাসী'।
Advertisement