সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আচমকাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, গাজা শান্তিচুক্তি এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে দুই রাষ্ট্রনেতার মধ্যে আলোচনা হয়েছে। ফোনালাপের অন্যতম বিষয় ছিল আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদও।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাব মেনে গাজা শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে ইজরায়েল এবং হামাস। গত অক্টোবরে এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সরকারি সূত্রের দাবি, এই বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে দুই রাষ্ট্রনেতার। আলোচনা হয়েছে দু'দেশের কৌশলগত সম্পর্ক নিয়েও। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে 'জিরো টলারেন্স' নীতিতেই সম্মতি জানিয়েছেন দুই নেতা।
ইজ়রায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার পর থেকেই ভারতের অবস্থান ও প্রতিক্রিয়া বরাবরই থেকেছে সাবধানী ও সতর্ক। একই সঙ্গে ভারসাম্য রাখার চেষ্টায় রত। কখনও সন্ত্রাসবাদের নিন্দা, কখনও ইজরায়েলের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক বজায় রাখার দায়, আবার কখনও প্যালেস্টাইনের প্রতি সহমর্মিতা।
তবে গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সর্বশেষ প্রস্তাবকে একাধিকবার স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী মোদি। ফোনেও তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। কূটনৈতিক শিবিরের মতে, ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন সংঘাত বন্ধ হওয়া ভারতের কৌশলগত এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে ভারতের এই অবস্থান চিনের ঠিক বিপরীত। চিন ট্রাম্পের কুড়ি দফা প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে। সাউথ ব্লক সূত্রের খবর, ভারত চেষ্টা করছে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ভারতের অবস্থানকে খাপ খাওয়াতে। প্যালেস্টাইন সঙ্কট সমাধানে নয়াদিল্লির দ্বিরাষ্ট্রীয় নীতি হল, দু'পক্ষের আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে পৌঁছনো, যেখানে নিরাপদ ও স্বীকৃত সীমান্তের মধ্যে স্বাধীন সার্বভৌম কার্যকর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র তৈরি করা হবে, যেখানে ইজরায়েলের সঙ্গে শান্তিতে বসবাস সম্ভব হবে।
