সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশকে অসাধারণ নেতৃত্ব দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রথম পুরস্কারটি দেওয়া হল। আর প্রথমবারই তা জিতে নিয়েছেন মোদি। কিন্তু, প্রধানমন্ত্রীর এই পুরস্কার জয় নিয়ে রীতিমতো হাসাহাসি পড়ে গিয়েছে বিরোধী শিবিরে। বিরোধী নেতাদের দাবি, এটা এমন একটা পুরস্কার যা মোদিজি ছাড়া অন্য কেউ জিততেই পারেন না। কারণটা কী? তাও বলে দিয়েছেন বিরোধীরাই।
[কম্পিউটার-মোবাইলে নজরদারি ইস্যুতে কেন্দ্রকে নোটিস সুপ্রিম কোর্টের]
আসলে, এবারই প্রথম এই ফিলিপ কোটলার পুরস্কার দেওয়া হল। যে সংস্থাটি পুরস্কারটি দিচ্ছে তার নাম GAIL। পুরস্কারটির সহযোগী স্পনসর বাবা রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। আরেকটি স্পনসর বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম রিপাবলিক টিভি। যার অন্যতম মালিক বিজেপি সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর। বিরোধীদের দাবি, এই দুটি সংস্থাই প্রধানমন্ত্রীর গুণমুগ্ধ এবং বিজেপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তাই এই পুরস্কারটি তাঁকে ছাড়া অন্য কাউকে দেওয়া সম্ভব ছিল না। এর আগেই সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ”আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। তিনি সর্বপ্রথম অত্যন্ত গোপনীয় এই পুরস্কার জিতে নিয়েছেন।” প্রধানমন্ত্রীর জেতা পুরস্কারকে তিনি অত্যন্ত গোপনীয় বলে কটাক্ষ করেছেন। অন্যদিকে, মোদিকে কটাক্ষ করতে গিয়ে ঝাঁজ আরও বাড়িয়েছেন রাহুল। তিনি আবার বলছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এমন একটি পুরস্কার পেয়েছেন, যে পুরস্কার দেওয়ার জন্য কোনও বিচারকেরও প্রয়োজন ছিল না। এই বিখ্যাত পুরস্কারটি পাওয়ার জন্য আমি মোদিকে শুভেচ্ছা জানাতে চাই। এই পুরস্কারটি এতটাই বিখ্যাত যে এটা এর আগে কখনও দেওয়া হয়নি, এর কোনও বিচারক নেই এবং এটা কিছু বিখ্যাত কোম্পানির সহযোগিতায় দেওয়া হয়েছে।”
[লাইনের স্লিপারেও গৈরিকীকরণ, রেলের সিদ্ধান্তে বিতর্ক]
উল্লেখ্য, গত সোমবারই প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয় প্রথমবারের জন্য দেওয়া ফিলিপ কোটলার প্রেসিডেন্সিয়াল অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন মোদি। এরপরই বিজেপির নেতামন্ত্রীরা তাঁকে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দেন। টুইটারে উপচে পড়ে শুভেচ্ছা বার্তা। আগামী লোকসভায় এই পুরস্কারকে প্রচারের হাতিয়ার করারও পরিকল্পনা করছিল বিজেপি। তাই হয়তো, পালটা আসরে নামল বিরোধী শিবির।