সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২৫ বছর আগে ‘যাদুবলে’ আস্ত তাজমহল অদৃশ্য করে দেখিয়েছিলেন জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়র। ২৫ বছর পর সেই ঘটনারই যেন পুনরাবৃত্তি। শনিবার সাতসকালে আগ্রায় ভ্যানিশ তাজমহল! গোটা ঘটনায় বিস্মিত হয়ে যান পর্যটকরা।
ব্যাপারটা কী? আসলে এদিন সকালে পুরু ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকে দিল্লি এবং সংলগ্ন অঞ্চল। কার্যত শূন্যতে নেমে আসে দৃশ্যমানতা। একই ছবি দেখা যায় আগ্রাতেও। ঘন ধোঁয়াশার প্রলেপে ঢাকা পড়ে যায় তাজমহল। একেবারে অদৃশ্য হয়ে যায় পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্য। ঘটনায় তাজ্জব হয়ে যান পর্যটকরাও। শনিবার সকালের তাজমহলের এই ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
ধোঁয়াশায় ঢাকা পড়েছে তাজমহল।
উল্লেখ্য, শুধু কনকনে ঠান্ডা নয়। সঙ্গে দোসর দূষণ। ফলে রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকায় ‘ধোঁয়াশা’ তৈরি হয়েছে, যা দৃশ্যমানতাকে কার্যত শূন্যে নামিয়ে আনার পাশাপাশি জনজীবনও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রক বোর্ড (সিপিসিবি)-এর তথ্যানুযায়ী, শনিবার সকালে দিল্লির বাতাসের গুণমান সূচক (একিউআই) ছিল ৩৮০। এদিন সকালে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠা-নামায় বিলম্ব হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ১০০টিরও বেশি বিমান। নির্ধারিত সময়ের পরে ছেড়েছে বহু উড়ান। একইসঙ্গে ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও।
প্রসঙ্গত, দূষণ মোকাবিলার জন্য রাজধানীতে সর্বোচ্চ স্তরের নিয়ন্ত্রণবিধি জারি রয়েছে। তার পরেও অবশ্য দিল্লির বাতাসের গুণমানের উন্নতি হচ্ছে না। দূষণ রোধে সম্প্রতি ‘ক্লাউড সিডিং’-এর ব্যবস্থা করেছিল দিল্লি সরকার। তার ট্রায়ালও হয়। কিন্তু বৃষ্টি হয়েছে না-হওয়ার-মতো। অথচ তিনটি ব্যর্থ ট্রায়াল বাবদ প্রায় ১.০৭ কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। বরং লাফিয়ে বেড়েছে দূষণ। এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লির বাতাস শিশু ও বর্ষীয়ানদের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে, সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। অনেকেরই চোখজ্বালা ও ক্রমাগত কাশির উপসর্গ রয়েছে। জল স্প্রে করে দূষণকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে প্রশাসন। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি আর হচ্ছে না।
