সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অনুশোচনা বা দুঃখপ্রকাশ নয়! নেওয়ার্কে ভারতীয় পড়ুয়ার উপর দুর্ব্যবহার নিয়ে রীতিমতো কড়া ভাষায় বিবৃতি দিল ভারতের মার্কিন দূতাবাস। নয়াদিল্লিতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের তরফে বলে দেওয়া হল, "আমেরিকায় ঢোকার অধিকার সবার নেই। আমরা বেআইনি অনুপ্রবেশ বরদাস্ত করব না।"
সম্প্রতি নেওয়র্ক বিমানবন্দরে ভারতীয় পড়ুয়ার প্রতি আমেরিকার আধিকারিকদের দুর্ব্যবহারের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিও'য় দেখা গিয়েছে, বিমানবন্দরে ফেলে পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হচ্ছে ভারতীয় পড়ুয়াকে। আমেরিকায় পড়তে আসার জন্য সমস্ত বৈধ কাগজ থাকলেও, অপরাধীর মতো আচরণ করে বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে ফেরানো হচ্ছে। কুণাল জৈন নামে এক যুবক গত রবিবার আমেরিকার নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে ভারতীয় পড়ুয়ার দুর্দশার ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আনেন। একইসঙ্গে লেখেন, ‘গত রাতে এক ভারতীয় পড়ুয়াকে নেওয়ার্ক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হল। হাতে হাতকড়া পরানো কাঁদতে থাকা ওই পড়ুয়ার সঙ্গে জঘন্য অপরাধীর মতো আচরণ করা হয়। ওই যুবক স্বপ্ন পূরণ করতে এখানে এসেছিলেন, কারও ক্ষতি করতে নয়।’ একইসঙ্গে ভারতীয় দূতাবাস ও বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, ‘অনাবাসী ভারতীয় হিসেবে আমি অসহায় বোধ করছি। আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। এটা মানবিক বিপর্যয়।’
পড়ুয়ার সঙ্গে মার্কিন পুলিশ ও অভিবাসন আধিকারিকদের ভয়ংকর দুর্ব্যবহারের ওই ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই এই ইস্যুতে মুখ খোলে আমেরিকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। এক্স হ্যান্ডেলে দূতাবাস জানায়, ‘সোশাল মিডিয়ায় এমন পোস্ট আমাদের নজরে এসেছে যেখানে দাবি করা হয়েছে একজন ভারতীয় নাগরিক নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এই বিষয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। ভারতীয় নাগরিকদের সাহায্যের জন্য দূতাবাস সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এবার পালটা মুখ খুলেছে দিল্লির মার্কিন দূতাবাসও। তাদের বক্তব্য, "আমরা আমেরিকায় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু, আমেরিকায় প্রবেশ করাটা সবার অধিকার নয়। আমরা কোনওভাবেই বেআইনি অনুপ্রবেশ, ভিসার অপব্যবহার, আমেরিকার আইন লঙ্ঘন করাটা মেনে নিতে পারি না।" বস্তুত, অভিবাসন নীতি নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরেই কড়া ট্রাম্প প্রশাসন। অনুপ্রবেশ এবং বেআইনি অভিবাসী রুখতে রীতিমতো আয়রন হ্যান্ড নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ভারতীয় পড়ুয়াকে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রেও সেই একই কড়া অবস্থান নেওয়া হয়েছে।
