সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে ৮৫ দিন। এখনও অধরা সুবিচার। সিবিআইয়ের জমা দেওয়া চার্জশিটে এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে একমাত্র সঞ্জয় রায় নামের সিভিক ভলান্টিয়ারের কথাই উল্লেখ কথা হয়েছে। তবে ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে সঞ্জয়কে একমাত্র অভিযুক্ত হিসাবে মানতে নারাজ জুনিয়র ডাক্তাররা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান চিকিৎসকদের। কালীপুজোর আগের রাতে মশাল হাতে মিছিল করেন তাঁরা। এদিকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের তরফে প্রাচী সিনেমা হল থেকে শিয়ালদহ আদালত পর্যন্ত মিছিল করা হয়।
সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে দাঁড়িয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে গড়িমসির অভিযোগ তোলেন। সিবিআইয়ের চার্জশিট এবং সন্দীপ ঘোষের জেরা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এছাড়া জুনিয়র চিকিৎসকদের নয়া সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দেবাশিস। এদিকে, রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিতে 'থ্রেট কালচার' নিয়ে এদিন আরও একবার সুর চড়ান আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো। রোগীস্বার্থ রক্ষায় রাজ্য সরকারের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা উচিত বলেও দাবি তাঁর।
আগামী ৪ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট ও শিয়ালদহ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন সিবিআই আদালতে কী জানায়, রাজ্য প্রশাসনের তরফেই বা কী জানানো হয়, সেদিকেই নজর আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের। তার পরই আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী কর্মসূচির ভাবনাচিন্তা রয়েছে বলেও জানান আন্দোলনকারী দেবাশিস। তবে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে, সে বিষয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানাননি তিনি। ভবিষ্যতে সোশাল মিডিয়ায় কিংবা সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে বলেই জানিয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের সদস্য দেবাশিস।