সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই হেফাজতে লালন শেখের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুললেন, ‘ওনাকে মেরে ফেলা হয়নি তো?’ ঘটনার তদন্তের দাবি জানালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্যরা।
ভাদু শেখের মৃত্যুর পর বগটুই (Bagtui Fire) গ্রামে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নাম উঠে এসেছিল লালন শেখের নাম। চার্জশিটেও নাম ছিল ভাদু শেখের ছায়া সঙ্গী লালন শেখের। প্রায় ন’মাস তল্লাশির পর তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। কয়েকদিনের মধ্যেই সিবিআই ক্যাম্পের শৌচালয়ে লালন শেখের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার প্রশ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে। শাসকদল বারবার দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করছে বিজেপি। ফলে এই ঘটনার সঙ্গেও জড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরের নাম। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন, ডিসেম্বরের ১২, ১৪ ও ২১ তারিখ বড়সড় কিছু ঘটবে। লালন শেখের মৃত্যুই কি তবে সেই বড় ঘটনা? প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বললেন, “১২ তারিখে বড় কিছু করবে বলতে এটাকেই বলেন নি তো? এত বড় ঘটনা তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ একটা চরিত্র তার মৃত্যু ঘটল সিবিআই হেফাজতে। সিবিআই অনেক দক্ষ অফিসাররা আছেন। কিন্তু এটা কেন ঘটল তাকে মেরে ফেলা হয়নি তো?”
[আরও পড়ুন: ‘মানদৌসে’র প্রভাব কাটতেই কমল রাজ্যের তাপমাত্রা, কবে পড়বে জাঁকিয়ে শীত?]
এ প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “সিবিআই হেফাজতে কীভাবে মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা উচিত। সত্যি প্রকাশ্যে আসবেই।” কাউকে বাঁচাতে লালন শেখকে সরিয়ে ফেলা হল না তো? এ প্রশ্নও উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। তবে গোটাটাই এখনও ধোঁয়াশা। তবে লালন শেখের পরিবার তার মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে সিবিআইকেই। মারধর করে লালন শেখকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ।