shono
Advertisement

বেআইনিভাবে বিস্ফোরক সরবরাহ, মহম্মদবাজার কাণ্ডে গ্রেপ্তার বিকাশ ভবনের চুক্তিভিত্তিক কর্মী!

গত বছর বীরভূমের মহম্মদবাজার থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর উদ্ধার হয়।
Posted: 03:44 PM Apr 01, 2023Updated: 03:49 PM Apr 01, 2023

অর্ণব আইচ: ছিলেন বিকাশ ভবনের (Bikash Bhaban) চুক্তিভিত্তিক কর্মী। কিন্তু তার আড়ালেই বেআইনিভাবে বিস্ফোরক (Ammunition) সরবরাহ করত। গত বছর বীরভূমের মহম্মদবাজারে বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে এনআইএ বিকাশ ভবনের কর্মী-সহ দু’জনকে গ্রেপ্তার করল। অপরজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রানিগঞ্জ থেকে। প্রথমজনের নাম মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। দ্বিতীয়জন বোকারোর বাসিন্দা মেরাজুদ্দিন আলি খান। মহম্মদবাজারে বিস্ফোরণের (Blast) ঘটনায় আগে ধৃত রিণ্টু শেখকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই দু’জনের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে ২ জনকে জালে আনে এনআইএ।

Advertisement

২০২২ সালের জুন মাসে বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজারে দুটি গাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ৮১ হাজার ইলেকট্রিক ডিটোনেটর উদ্ধার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। তদন্তের ভার যায় এনআইএ-র হাতে। জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রিন্টু শেখ নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ (NIA)। সেটাই ছিল প্রথম গ্রেপ্তারি। তাকে টানা জিজ্ঞাসাবাদে মীর মহম্মদ ও মেরাজুদ্দিনের খোঁজ পান তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: ‘আমার বিরুদ্ধে একটাও কথা বললে…’, কেজরিওয়ালের অসম সফরের আগে হুঁশিয়ারি হিমন্তর]

সেই সূত্রে কলকাতা থেকে বিকাশ ভবনের চুক্তিভিত্তিক কর্মী মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান এবং রানিগঞ্জ থেকে মেরাজুদ্দিন আলি খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের আজ আদালতে পেশ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, মীর মহম্মদ আসলে ন্যাশনাল ইন্সুরেন্স কর্পোরেশন (NIC)তে কর্মরত, ওয়েবেলে কাজ করতেন। পরে তাকে ডেপুটেশনে বিকাশ ভবনে পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, তার বাবার কারখানায় তৈরি হয় বিস্ফোরক। তার লাইসেন্সও রয়েছে। আর বাবার গুদাম থেকেই চুপিসাড়ে বেআইনিভাবে বিস্ফোরক সরবরাহ করত মীর মহম্মদ নুরুজ্জামান। সেই কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হল।

[আরও পড়ুন: এবার জন্ম তারিখ নিয়ে বিতর্কে শতরূপ ঘোষ, শুভেচ্ছা কুড়োতে ব্যবহার করেন লেনিনের জন্মদিন!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement