সুদীপ রায়চৌধুরী: বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে এনুমারেশন পর্ব। কমিশন সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত খসড়া পর্বে নাম বাদ গিয়েছে ৫৮ লক্ষের বেশি ভোটারের। একই সঙ্গে মিলেছে একাধিক চমকপ্রদ তথ্যও। যেমন প্রায় ১২ লক্ষ ভোটার বাবা হয়েছেন ১৫ বছরের কম বয়সে।
শুক্রবার কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গিয়েছে, সর্বমোট নাম বাদ যাওয়া ভোটারের সংখ্যা ৫৮ লক্ষ ১৮ হাজার ৪৮৭। রাজ্যে মৃত ভোটারের সংখ্যা ভোটার ২৪ লক্ষ ১৮ হাজার ৫৯৯। নিখোঁজ ১২ লক্ষ ১২ হাজার ২৭৪। স্থানান্তরিত ১৯ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৬৬। নথিভুক্ত ভোটারের সংখ্যা ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৯৬১। সন্তানের সঙ্গে বাবা বা মায়ের বয়সের ফারাক ৫০ বছরের, এই রকম ভোটারের সংখ্যাটা ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার, ৭৩৬ জন। আবার দাদু বা দিদিমার সঙ্গে বয়সের ফারাক ৪০ বছর, এই রকম ভোটার রয়েছে ৩ লক্ষ, ২৯ হাজার ১৫২। তথ্যে অসঙ্গতি রয়েছে ১ কোটি ৭০ লক্ষ ভোটারের। ম্যাপিং হয়নি এমন ভোটারের সংখ্যা ৩০ লক্ষের। এতএব হিয়ারিংয়ে ডাক পেতে পারেন রাজ্যের ২ কোটি ভোটার। কমিশনের এক কর্তা জানাচ্ছেন, এত বড় প্রক্রিয়ায় কিছু ভুল হতে পারে। তা শুনানি প্রক্রিয়ার সময় ঠিক করে নেওয়া হবে।
১৬ ডিসেম্বর রাজ্যে প্রকাশ করা হবে খসড়া তালিকা। তার আগে এই তথ্য সামনে আসার পরই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু সময় থেকেই বিজেপি দাবি করে আসছে তালিকা থেকে ১ কোটি নাম বাদ যাবে। এই তথ্য প্রকাশের পর গেরুয়া শিবিরের মত, তাদের অভিযোগই সত্য হচ্ছে! রাজ্যে অনেক ভুয়ো ভোটার, রোহিঙ্গারা ভুল তথ্য দিয়ে তালিকায় নাম তুলেছিল। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ এত কম সময়ে এসআইআর প্রক্রিয়া করলে অনেক অসঙ্গতি থাকবে। এই তথ্য তারই প্রমাণ। কমিশন এসআইআরের কাজে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। এর ফলে অনেক তথ্য মিস-ম্যাচের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের। এসআইআরের শুরু থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত অল্প সময়ে এসআইআর নিয়ে সরব হয়েছেন। সংসদে গলা ফাঁটিয়েছেন তৃণমূল সংসদরাও। কমিশনের এই তথ্য সামনে আসার পর তৃণমূল ফের সরব হবে বলে মত ওয়াকিবহল মহলের।
