সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসআইআর নিয়ে রাজ্যবাসীর আতঙ্কের শেষ নেই। যাদের নিজেদের বা বাবা-ঠাকুরদার নাম ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে রয়েছে, তারাও আতঙ্কিত। যাদের নেই, তাদের কথা তো বলাই বাহুল্য। অনেকেই দেশছাড়া হওয়ার ভয়ে ভুল তথ্য দিয়ে থাকতে পারেন, এই আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না কমিশন। এই ধরণের অপরাধ প্রমাণিত হলে প্রবল বিপাকে পড়তে হবে অভিযুক্তকে।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেউ যদি এনুমারেশন ফর্মে ভুল তথ্য দেন তাহলে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS)-এর ৩৩৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী শাস্তি হবে। সেক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদন্ড হতে পারে। গুণতে হবে জরিমানাও। এবার ধরুন আপনার নাম খসড়া তালিকায় নেই। আবার হিয়ারিংয়ে ডাকও পাননি। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? এরকম পরিস্থিতিতে নতুন করে নাম তুলতে হবে ভোটার তালিকায়। তার জন্য ফর্ম ৬ অ্যানেক্সার ৪ ফিলআপ করতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই গত ২৮ অক্টোবর বাংলায় এসআইআর ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালে বাংলায় শেষবার এসআইআর হয়েছিল। সেই মোতাবেক এবারের এসআইআরে ওই বছরের ভোটার তালিকাকে গুরুত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যাঁদের নাম সেই বছরের তালিকায় রয়েছে, তাঁদের আর কোনও অতিরিক্ত নথি দেখাতে হবে না বলে জানানো হয়েছে। বরাবর এসআইআর-এর বিরোধিতা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের আশঙ্কা, এসআইআরের নামে বৈধ ভোটারদের নাম বাদ যেতে পারে। এটাই বিজেপির ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতাদের।
