সন্দীপ্তা ভঞ্জ: বিয়ে মানেই যে লাল বেনারসি কিংবা লাল লেহেঙ্গা, শাড়ি নয়, এই ধ্যানধারণা অনেক আগেই ভেঙেছে বলিউড। ছক ভেঙে প্যাস্টেল শেডের পোশাকে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন নায়িকারা। এবার টলিপাড়ার বিয়ের ট্রেন্ড ভাঙলেন বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। তাঁর বিয়ের সাজপোশাকেও দেখা গেল অভিনবত্বের ছোঁয়া।
বাঙালি বিয়েতে কনের সাজ মানেই লাল টুকটুকে বেনারসি। লাল চেলি। কপালে চন্দন। আর গা ভরতি সোনার গয়না পরা কনের পানপাতায় ঢাকা মুখ! তবে স্রোতের বিপরীতে গা ভাসালেন শ্রুতি দাস। চিরাচরিত ধ্যানধারণাকে ভেঙে দিয়ে সাদা শাড়ি এবং রুপোলি চেলিতেই কনে সাজে চমক দিলেন অভিনেত্রী। লজ্জাবস্ত্রে ঢাকা সিঁদুরে মাখামাখি নায়িকা তখন লাজে ‘রাঙা বউ’।
গোটা শাড়িতে সুতোর কাজ। ব্লাউজে লাল ফ্রিল দেওয়া। আর শ্রুতির কনে লুকে অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করেছে রুপোর গয়না। জোড়া মাছের নকশাকাটা ঝুমকো এবং নেকলেস। গলায় সিলভার চোকার। রুপোর মাথাপট্টি। শাখার সঙ্গে রুপোর বালা এবং হাতে গিনি ডিজাইনের বড় আংটি। তার সঙ্গে কন্ট্রাস্টে গলায় লাল গোলাপের মালা শ্রুতি দাসের কনে সাজকে আরও একধাপ এগিয়ে দিয়েছে।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর তরফে যোগাযোগ করা হলে শ্রুতি জানান, “বহুরূপী থেকে আমার আর স্বর্ণেন্দুর পোশাক নেওয়া। আমরা আগে থেকেই বলে দিয়েছিলাম সাদা রঙের ওপর কোনও ম্যাচিং পোশাক পরব। আর আমাদের ইচ্ছের কথা মাথায় রেখেই এই বিশেষ দিনের জন্য অভিষেক রায় আমার শাড়ি এবং স্বর্ণেন্দুর পাঞ্জাবি ডিজাইন করেছেন।”
কিন্তু বাঙালি বিয়েতে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে সাদা শাড়ি পরায় আপত্তি ওঠেনি? সেই প্রশ্নের উত্তরও দিলেন শ্রুতি। অভিনেত্রীর মন্তব্য, “হ্যাঁ, আশেপাশে অনেকেই ভ্রু কুঁচকেছিলেন! তবে আমাদের মা-বাবারা জানতেন। আর আমরা আমাদের ইচ্ছেটাকেই প্রাধান্য দিয়েছি।”