বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: জামদানির উপর রেশম দিয়ে দ্রৌপদী মুর্মুর অবয়ব তৈরি করে তাক লাগালেন পদ্মশ্রী প্রাপক বিখ্যাত তাঁতশিল্পী বীরেন কুমার বসাক। তিনজন কারিগরকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র কুড়িদিনের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে শাড়িটি। আগামী ৭ আগস্ট দিল্লিতে হ্যান্ডলুম দপ্তরের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিতে চান শাড়িটি। এর আগে ওই তাঁতশিল্পী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ি নিয়ে গিয়ে প্রশংসিত হয়েছেন।
মসলিনের উপর রেশম দিয়ে বিভিন্ন গুণী মানুষের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তুলে পদ্মশ্রী-সহ নানা পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁতশিল্পী। এবার ভারতের নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতিচ্ছবি শাড়িতে ফুটিয়ে তুললেন। লক্ষ্য একটাই, তাঁকে সম্মান জানানো।
[আরও পড়ুন: মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত পার্থ চট্টোপাধ্যায়, আপাতত দপ্তর সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীই]
বীরেন কুমার বসাক জানান, “জামদানির উপর রেশম দিয়ে এই শাড়িটি তৈরি করেছি। সময় লেগেছে প্রায় ২০ দিন। আসলে একজন শাড়িটি তৈরি করতে গেলে প্রায় দু’মাস লেগে যেত। হাতে সময় কম থাকায় আমার তিনজন কারিগরকে দিয়ে কাজ করাতে হয়েছে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মু শপথ নেওয়ার অনেক আগে থেকেই আমি কাজ শুরু করেছিলাম। কিন্তু একার পক্ষে অল্পদিনে করা সম্ভব ছিল না। আগামী ৫ আগস্ট আমার দিল্লি যাওয়ার কথা। ওইদিন আমরা মোট ১১ জন রওনা দেব।”
তাঁতশিল্পী আরও বলেন, “আগামী ৭ আগস্ট তাঁত দিবসে হ্যান্ডলুম দপ্তরের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট ও বিজনেস ডিপার্টমেন্ট বিভাগে দু’টি পুরস্কার পাওয়ার কথা। পুরস্কার প্রাপক হিসেবে আমরা এখান থেকে মোট ৬জন যাব। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন একজন করে। আমরা ৭ আগস্ট ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেব। যতদূর জানি ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু পুরস্কার তুলে দেবেন। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে ডাকা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির হাতে এই শাড়িটি তুলে দেওয়ার ইচ্ছা রয়েছে আমার।” ফুলিয়ার চটকাতলার বাসিন্দা বীরেন কুমার বসাক আরও জানান, আদিবাসী, সাঁওতাল, নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের অন্তত ২০০ জন তরুণী এখানে কাজ শিখে কাজ করছে। তাদের মধ্যে সরস্বতী সরকার, অপর্ণা জোয়ারদার ও কমলা মজুমদার নামে তিনজন জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছেন।