সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উৎসব-অনুষ্ঠান মানেই তো নতুন পোশাক। নয়া ফ্যাশন। ভোটও সেই অর্থে গণতন্ত্রের উৎসব। বাকি মরশুমের মতো এক্ষেত্রেই বা নতুন ফ্যাশন আসবে না কেন? আলবাৎ হবে! ভোটের আবহে কলকাতার বড়বাজারে মোদি, মমতা, অভিষেক টিশার্টের রমরমা। তবে বাংলার ভোট ফ্যাশনে পদ্মকে ছাপিয়ে গেল জোড়াফুল।
ভোটের মরশুমে বড়বাজারে রাজনৈতিক ফ্যাশনের রমরমা। মুখে মুখে মোদি-মমতা। বাদ গেলেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একছাদের তলাতেই বিরোধী শিবিরের সহাবস্থান। ভোট উৎসবের আবহে দেদার বিকোচ্ছে মোদি, মমতা, অভিষেক টিশার্ট। তবে সবথেকে অবাক কাণ্ড, ফ্যাশন বাজারের দৌড়ে কিন্তু এগিয়ে ‘বাংলার মেয়ে’। তাঁর মুখওয়ালা গেঞ্জি পরতে হলে গ্যাঁট থেকে খরচা করতে হবে ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। কোথাও বা আবার সেই দামও ছাড়িয়েছে।
লোকসভা ভোটের প্রাক্কালে প্রিয় নেতা-নেত্রীকেই বুকে আগলে রেখে ঘুরতে চাইছেন মানুষ। তাই নরেন্দ্র মোদি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক টিশার্টের চাহিদাও এখন বাড়ছে। মোদি টিশার্ট যেখানে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে বাজিমাত করেছে ‘দিদি’ গেঞ্জি। অভিষেকের মুখওয়ালা টিশার্টের দাম ৬০ টাকা। বাংলার ভোট ফ্যাশনে মোদিকেও ছাপিয়ে গেলেন অভিষেক।
[আরও পড়ুন: চরম গরমে ত্বকে আনবে দীপ্তি, তরমুজে সেরে ফেলুন রূপটান, রইল টিপস]
ওদিকে বাংলার ‘অ্যানিমিয়া’ হলেও বাজারে কিন্তু বামেদের প্রতীকী চিহ্ন আঁকা টিশার্টের কদরও রয়েছে। লাল টিশার্টে আঁকা কাস্তে-হাতুড়ি-তারা চিহ্নের জামা হামলে পড়ে কিনছেন কর্মী-সমর্থকরা। এই ভোট উৎসবে বড়বাজার যেন আস্ত মন্দিরে পরিণত হয়েছে। ওদিকে টিশার্টের ভিড়ে শাড়িও কিন্তু পিছিয়ে নেই। জোড়াফুল ছাপের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিকোচ্ছে পদ্ম প্রিন্টের শাড়ি।
গেঞ্জি ছাড়াও শাড়ি, ছাতা, সবেতেই এগিয়ে রয়েছেন মমতা। মোদি বহুদূর! আসলে বিজেপি বাইরে থেকে অর্ডার দেয় বলেই বড়বাজারে গেরুয়া রঙের ভাঁটা! আর জোড়াফুলের পরই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বাম শিবির। শুধু তাই নয়, পতাকার বিক্রিও বেড়েছে। সবুজ, লালা, গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গিয়েছে গোটা বাজার। এদিকে মোদি, মমতা ও অভিষেক মুখোশের দাম মারাত্মক! কিনতে গিয়ে ছ্যাঁকা খাচ্ছেন কর্মীরা। ১০০ পিসের দাম চারশো টাকা। বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরের ব্যাচ বিক্রি হচ্ছে ৫ থেকে ১০ টাকা দামে। প্রতি পিস টুপির দামও তাই। হাওড়া, কৃষ্ণনগর, হুগলি বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই বিপুল পরিমাণে টুপি, গেঞ্জি, সানগার্ডের অর্ডার ঢুকছে বড়বাজারে। তবে বিজেপির অর্ডার সবথেকে কম। বিক্রেতাদের কথায়, পদ্মশিবির বাইরে অর্ডার দেয়।