সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতে আরও বিপাকে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটার (Twitter)। গাজিয়াবাদ (Ghaziabad) কাণ্ডে বয়ান রেকর্ডের জন্য তলব করা হল ভারতে টুইটারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মনীশ মাহেশ্বরীকে। আগামী সাতদিনের মধ্যে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) সীমান্তবর্তী লোনি থানায় গিয়ে হাজিরা দিতে হবে এদেশে টুইটারের প্রধান কর্তাকে। ইতিমধ্যেই গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফ থেকে তাঁকে আইনি নোটিসটি পাঠানো হয়েছে।
কেন্দ্রের নয়া আইন অমান্য করায় সম্প্রতিই টুইটারের কাছ থেকে আইনি রক্ষাকবচ তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এরপরই প্রথমবার ভারতে টুইটারের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ দায়ের হতে থাকে। এর মধ্যে রয়েছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের ঘটনাটিও। সেখানে এক মুসলিম বৃদ্ধকে নিগ্রহের ঘটনার যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে, তা অসত্য বা বিকৃত বলে চিহ্নিত না করায় বেশ কয়েকজন সাংবাদিকের পাশাপাশি টুইটারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের হয়। কেন্দ্রের তরফেও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, আইনি সুরক্ষা না থাকায় এ বার থেকে এই ধরনের বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে টুইটারকেও জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে। জানা গিয়েছে, আগামী সাতদিনের মধ্যেই উত্তর প্রদেশের লোনি সীমান্তের থানায় মনীশকে হাজিরা ও বয়ান রেকর্ড করার জন্য উপস্থিত হতে বলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন CCO নিয়োগ করেও মিলল না স্বস্তি, আইনি রক্ষাকবচ হারাল Twitter]
প্রসঙ্গত, সুফি আবদুল সামাদ নামে গাজিয়াবাদের ওই বৃদ্ধ দাবি করেছিলেন, জোর করে তাঁর দাড়ি কেটে নেওয়া হয়েছিল এবং “বন্দেমাতরম” এবং “জয় শ্রী রাম” বলতে বাধ্য করা হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ওই ঘটনায় ছয় অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করে। তবে পুলিশের তরফে জানানো হয়, এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সাম্প্রদায়িক যোগ নেই। ওই বৃদ্ধ ভুয়ো তাবিজ বিক্রি করায় অভিযুক্তরা তাঁকে মারধর করেছিল, এদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলিম-উভয় ধর্মাবলম্বীই উপস্থিত ছিল।