সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটি মশা কী কাণ্ডটাই না ঘটাতে পারে! ভোর পৌনে তিনটে নাগাদ পুলিশকে সোজা নার্সিংহোমে পাঠিয়ে দিতে পারে। আর এমন কাজ করাতে পারে, যা অনেকের পক্ষে হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করা সম্ভব নয়।
ঘটনাটি ঘটেছে যোগীরাজ্যে অর্থাৎ উত্তরপ্রদেশে। চন্দৌসি এলাকার হরি প্রকাশ নার্সিংহোমে। সেখানেই গর্ভবতী স্ত্রীকে নিয়ে গিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আসাদ খান। ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সমস্যা তারপর শুরু হয়। ভোররাত পর্যন্ত চলে মশার উপদ্রব। একে সন্তান জন্মের পরের বেদনা, অন্যদিকে মশার কামড়ে কাতরাতে থাকেন আসাদের স্ত্রী।
[আরও পড়ুন: বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে শপিংমলে বেড়াতে গেলেন ৪ পুলিশকর্মী! তারপর যা ঘটল…]
স্ত্রীর যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে ভোররাত ২.৪৫ নাগাদ উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে ট্যাগ করে সমস্যার কথা জানান আসাদ। এরপর কী ঘটতে চলেছে, তা কোনওভাবেই আন্দাজ করতে পারেননি তিনি। উত্তরপ্রদেশ পুলিশের কাছে মশা মারার কয়েল চেয়েছিলেন যুবক। মাত্র কয়েক মিনিটেই তার উত্তর আসে।
গল্প এখানেই শেষ নয়। তাই শাহরুখ খানের সিনেমার মতোই বলা যায় ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায়’। কারণ, টুইটারে জবাব দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। দুই পুলিশকর্মী সেই ভোররাতেই পৌঁছে গিয়েছিলেন নার্সিংহোমের দুয়ারে। আসাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন কাঙ্খিত মশার কয়েল। গোটা টুইটালাপের স্ক্রিনশট শেয়ার করা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলের পক্ষ থেকে।
[আরও পড়ুন: ৫৩ লক্ষ টাকার বিরাট ছুরি, যোগীরাজ্যে রামপুরী চাকুর ‘ঐতিহ্য’ রক্ষায় স্ট্যাচু]