সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিখোঁজ বিজেপি সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনে জেতার পর থেকেই বেপাত্তা পাঞ্জাবের গুরদাসপুরের সাংসদ সানি দেওল। বছরভর গুরদাসপুর লোকসভা কেন্দ্রে নাকি অভিনেতা-সাংসদের টিকির দেখাও মেলে না। এমনকী কোনও উন্নয়ন বৈঠকেও অংশ নেন না তিনি। আর তাই সানিকে কটাক্ষ করে একাধিক এলাকায় পোস্টার দিয়েছে বিরোধীরা। লেখা হয়েছে, ‘গুমসুদা কি তালাশ’ অর্থাৎ নিখোঁজের সন্ধান চাই। সঙ্গে সানি দেওলের একটি ছবিও ছাপানো হয়েছে। এমনকী সাংসদের ফেসবুকেও এই পোস্ট করা হয়েছে। তাতেই ব্যাপক চটেছেন গুরদাসপুরের সাংসদ।
প্রতিক্রিয়ায় অভিনেতা-সাংসদ সানি দেওল বলেন, “শুনেছি নিন্দুকেরা আমার নামে আজেবাজে কথা রটিয়ে বেড়াচ্ছেন। তার চেয়ে বরং বিরোধীরা মানুষের স্বার্থে কাজ করুক। আমিও মানুষের জন্যই কাজ করছি। শহরের যানজট কমানোর জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি।” প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করে গুরুদাসপুর থেকে জয়ী হন সানি। কিন্তু তারপর থেকেই লোকসভা কেন্দ্রে তাঁর দেখা মেলেনি। উল্টে লেখক গুরপ্রীত সিংকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেন। তাঁকেই এলাকার সমস্ত বৈঠক ও সুযোগ-সুবিধা দেখার জন্য নির্দেশ দেন। তারপর থেকেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। বলা হচ্ছে, এলাকার জন্য কোনও কাজ করার ইচ্ছেই নেই সাংসদের। এমনকী সংসদের অধিবেশনেরও তাঁর উপস্থিতির হার চোখে পড়ার মত কম।
[আরও পড়ুন: কলকাতা বন্দরের পর এবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের নাম বদলাতে চায় বিজেপি!]
এদিকে লোকসভা কেন্দ্র এলাকায় সাংসদের অনুপস্থিতি নিয়ে অভিনেতাকে বিঁধেছেন কংগ্রেস নেতা মণীষ তিওয়ারি। তাঁর কথায়, “এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। এর আগেও রাজস্থানের বিকানেরের সাংসদ ছিলেন সানি দেওলের বাবা অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। তাঁকেও কোনওদিন লোকসভা কেন্দ্রের আশপাশে দেখা যায়নি। গুরুদাসপুর তাদের ভাল প্রতিনিধিকে হারাল।” প্রসঙ্গত, লোকসভায় গুরুদাসপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে লড়াই করেছিলেন সুনীল জাখর। কিন্তু তিনি সানি দেওলের কাছে পরাজিত হন। এলাকার মানুষের মুখে এখন এক রা, সুনীল জাখর জিতলেই ভাল হত! অনন্ত এলাকার জন্য কাজ করতেন।
The post নিখোঁজ বিজেপি সাংসদ সানি দেওল, খোঁজ পেতে পোস্টার পড়ল গুরদাসপুরে appeared first on Sangbad Pratidin.